আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কুরআন,হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ করে
উওর দিবেন।
(মাযহাব ব্যবহার করলে অবশ্যই হাম্বলী/শাফেয়ী/মালিকি।)

প্রশ্ন- ১:

ভালোমত ওযু করার পরও এশা জামায়াতে প্রথম রাকাত থেকে নামাজ শুরুর সময়টাই জিহ্বার একদম সামনে কিছু একটা বাজছে বুঝা যাচ্ছিল ( হতে পারে ছোট খাদ্যকনা কিন্তু নিশ্চিত নই)। এরপর পরের রাকাত নয়ত পরের রাকাতে আর কিছু বাজছে অনুভুত হয় নি।গিলেছি ফেলছি কিনা তাও বুঝা যায় নি।  এভাবেই সালাত সমাপ্ত করি।নামাজ শেষে মুখে জিহ্বার সামনে ভালোমত চেক করে কিছু খুজে পাই নি।এমতাবস্থায় এশা জামায়াতে  আমার সালাত হয়েছে কি?

প্রশ্ন-২:

ওযু করা শেষে আছর জামায়াত ধরতে তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে ওযুর বসার স্থানের কোনায় পা লাগে টাখনুর উপরে কেটে যায়। প্রথমে তেমন বুঝতে পারি নাই। নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় পায়ে  দেখি কেটে গেছে। এখন প্রশ্ন,আমার কি ওযু ভেঙ্গে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ছানা বরাবর কিছু ভক্ষণ করলেই কেবল নামায ভঙ্গ হয়। যেহেতু এখানে নিশ্চিত নয় যে, আপনি কি খেয়েছেন, তাই আপনার নামায ভঙ্গ হবে না।

(২)
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج) 
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2142

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি রক্ত বের হয়ে নিজ স্থানকে অতিক্রম করে থাকে, তাহলে অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 187 views
0 votes
1 answer 127 views
0 votes
1 answer 142 views
...