আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)

১. হজ্জের ক্ষেত্রে দম ও কুরবানী কি একই। ওই সময় যদি দম ওয়াজিব হয় তাহলে তার দ্বারা কি কুরবানীও আদায় হবে?

২. সফরে থাকাকালীন (বাসে) যদি এমন হয় যে বাসায় পৌঁছে এশার নামাজ পড়লে মাকরুহ ওয়াক্ত হয়ে যাবে আবার পথে পড়লে কসর আদায় করতে হবে, সেক্ষেত্রে কী করণীয়? পথে কসর আদায় করবো নাকি বাসায় পৌঁছে পূর্ণ নামাজ আদায় করবো?

৩. আমাদের বাসায় আমার চাচা ও বোনসহ (বিবাহিত) শরীকানায় কুরবানী দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কুরবানীর গোশত ভাগ করার সময় বাটি দিয়ে আনুমানিকভাবে মেপে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি সবাই সন্তুষ্ট থাকে তাহলেও কি গুনাহ হবে?

৪. কুরবানীর ঈদের দিন কুরবানীর গোশত দ্বারা আহার শুরু করার ক্ষেত্রে যদি সকালে শুধু পানি পান করা হয় তাহলে কি সুন্নাত আদায় হবে? যদি না হয় এক্ষেত্রে অযুর সময় গলায় পানি চলে গেলে কি সুন্নাত আদায় হবে?

৫. নাস্তিকরা অনেক সময় বলে 'সব যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছায়ই হয়, তাহলে কেউ খারাপ কাজ করলে তা আল্লাহর দোষ' (নাউজুবিল্লাহ)। এর জবাব কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)হজ্জের ক্ষেত্রে দম ও কুরবানী এক না। বরং ওই সময় যদি দম ওয়াজিব হয়, তাহলে তার দ্বারা কুরবানী আদায় হবে না।

(২)সফরে থাকাকালীন (বাসে) যদি এমন হয় যে, বাসায় পৌঁছে এশার নামাজ পড়লে মাকরুহ ওয়াক্ত হয়ে যাবে, আবার পথে পড়লে কসর আদায় করতে হবে, সেক্ষেত্রে পথে কসর আদায় করবেন।

(৩)আপনার চাচা ও বোনসহ (বিবাহিত) শরীকানায় কুরবানী দেন। এক্ষেত্রে কুরবানীর গোশত ভাগ করার সময় বাটি দিয়ে আনুমানিকভাবে মেপে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি সবাই সন্তুষ্ট থাকে তাহলেও গুনাহ হবে না।

(৪)কুরবানীর ঈদের দিন কুরবানীর গোশত দ্বারা আহার শুরু করার ক্ষেত্রে যদি সকালে শুধু পানি পান করা হয় তাহলে সুন্নাত আদায় হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।

(৫)
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ- أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ-وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ-وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। ( সূরা বালাদ-৭-১০)

আল্লাহ সবাইকে দু'টি রাস্তা দেখিয়েছেন, ভালোর রাস্তা এবং মন্দর রাস্তা।

ভালোর রাস্তার দিকে কেউ নিয়ত করলে আল্লাহ তাকে সক্ষমতা দান করেন।এবং মন্দ রাস্তার দিকে কেউ নিয়ত করলে তাকেও আল্লাহ সক্ষমতা দান করেন।
আল্লাহ বান্দাহকে এই নিয়তের জন্যই পুরুস্কার ও তিরস্কার করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/24807


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 304 views
...