বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)হজ্জের ক্ষেত্রে দম ও কুরবানী এক না। বরং ওই সময় যদি দম ওয়াজিব হয়, তাহলে তার দ্বারা কুরবানী আদায় হবে না।
(২)সফরে থাকাকালীন (বাসে) যদি এমন হয় যে, বাসায় পৌঁছে এশার নামাজ পড়লে মাকরুহ ওয়াক্ত হয়ে যাবে, আবার পথে পড়লে কসর আদায় করতে হবে, সেক্ষেত্রে পথে কসর আদায় করবেন।
(৩)আপনার চাচা ও বোনসহ (বিবাহিত) শরীকানায় কুরবানী দেন। এক্ষেত্রে কুরবানীর গোশত ভাগ করার সময় বাটি দিয়ে আনুমানিকভাবে মেপে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি সবাই সন্তুষ্ট থাকে তাহলেও গুনাহ হবে না।
(৪)কুরবানীর ঈদের দিন কুরবানীর গোশত দ্বারা আহার শুরু করার ক্ষেত্রে যদি সকালে শুধু পানি পান করা হয় তাহলে সুন্নাত আদায় হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।
(৫)
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ- أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ-وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ-وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। ( সূরা বালাদ-৭-১০)
আল্লাহ সবাইকে দু'টি রাস্তা দেখিয়েছেন, ভালোর রাস্তা এবং মন্দর রাস্তা।
ভালোর রাস্তার দিকে কেউ নিয়ত করলে আল্লাহ তাকে সক্ষমতা দান করেন।এবং মন্দ রাস্তার দিকে কেউ নিয়ত করলে তাকেও আল্লাহ সক্ষমতা দান করেন।
আল্লাহ বান্দাহকে এই নিয়তের জন্যই পুরুস্কার ও তিরস্কার করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/24807