আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম।
বিগত উত্তরে এই লিখাটার ব্যক্তিকে ছেলে মনে করা হয়েছিলো। এটা একটা মেয়ের সমস্যা। তার ক্ষেত্রে বিধান কি হবে?
কারণ মেয়ের তো ভরণপোষণের দায়িত্ব না বরং শারীরিক ও পারিবারিক হক আদায়ের দায়িত্ব। সংশয়ে আছি।
বয়স ২৬ এমন একজন মেয়ের পড়াশুনা ও বিয়ে বিষয়ে জিন-জাদুর সমস্যা আছে। বিয়ের ব্যাপারে তার মাঝে আগ্রহ স্থির থাকে না। এখন প্রায়ই আগ্রহই থাকে না। সে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা চিন্তা করতে পারে না। অসুস্থ হয়ে যায়। অনেক সময় শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও মাথা যন্ত্রণায় এত কষ্ট লাগে যেন পরিবার পরিচালনা তার দ্বারা সম্ভব হবে না মনে করে। রুকইয়াহ চলমান। সুস্থতার মালিক আল্লাহ। তার বিশ্বাস আল্লাহ চাইলে বিয়ের ব্যবস্থা হওয়া এই অবস্থায়ও অসম্ভব কিছু নই এবং অবিবাহিত থাকা যদি কল্যাণের হয় সে এতে খুশী ও স্থিরতা চায়। কিন্তু এ মূহুর্তে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারপর এ বিষয়ে মনে নানান প্রশ্ন আসে ও দ্বিধা কাজ করে। এছাড়াও দীনদার মানুষজন ছাড়া অন্য কাউকে তার ভালো লাগে না। মিশতে পারে না। জিন-জাদুর সমস্যা থাকা ও আগ্রহ না থাকায় লাগাতার বিয়ে বিষয়ক দুআ করতে ভয় পায়। নিয়ামতের কদর করার সামর্থ্য না থাকলে সে নিয়ামত চাওয়াতে সে ভয় করে। কোথাও চাকরীর জন্যও মানাতে কষ্ট হয় তার।
প্রশ্ন হলো:
১) তার জন্য বিয়ের বিধান কি? এতে কি অন্যের হক নষ্টের ব্যাপার আছে? যেহেতু আগ্রহ স্থির থাকে না।
২) যদি বিধান নিষেধ পর্যায়ের হয়, তাহলে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে বিয়ের পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেয়া কি নিয়ত বা শিরক জাতীয় গুনাহ হবে?
৩) এ পরিস্থিতিতে যদি কোন দীনদার পাওয়া যায়, তাহলে নিজের সাথে জোর কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে পাত্রকে কি জিন-জাদুর প্রভাবের কথা জানিয়ে দিতে হবে? কারণ বর্তমান অবস্থা ভালো না ও পরবর্তী অবস্থারও নিশ্চয়তা নেই।
৪) এ অবস্থায় পরিবারে নিজের বোঝা হালকা করতে কোথাও চাকরী করতে পারবে? আপাতত মাদ্রাসায় পড়ানোর ফিকিরে আছে। যদিও মিলছে না ভালো।
গুনাহের ভয় ও কিছু পরিস্থিতি মোকাবেলায় পড়ে ফতওয়া জানতে বাধ্য সে। আল্লাহ ভরসা