আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম।

বিগত উত্তরে এই লিখাটার ব্যক্তিকে ছেলে মনে করা হয়েছিলো। এটা একটা মেয়ের সমস্যা। তার ক্ষেত্রে বিধান কি হবে?
কারণ মেয়ের তো ভরণপোষণের দায়িত্ব না বরং শারীরিক ও পারিবারিক হক আদায়ের দায়িত্ব। সংশয়ে আছি।

বয়স ২৬ এমন একজন মেয়ের পড়াশুনা ও বিয়ে বিষয়ে জিন-জাদুর সমস্যা আছে। বিয়ের ব্যাপারে তার মাঝে আগ্রহ স্থির থাকে না। এখন প্রায়ই আগ্রহই থাকে না। সে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা চিন্তা করতে পারে না। অসুস্থ হয়ে যায়। অনেক সময় শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও মাথা যন্ত্রণায় এত কষ্ট লাগে যেন পরিবার পরিচালনা তার দ্বারা সম্ভব হবে না মনে করে। রুকইয়াহ চলমান। সুস্থতার মালিক আল্লাহ। তার বিশ্বাস আল্লাহ চাইলে বিয়ের ব্যবস্থা হওয়া এই অবস্থায়ও অসম্ভব কিছু নই এবং অবিবাহিত থাকা যদি কল্যাণের হয় সে এতে খুশী ও স্থিরতা চায়। কিন্তু এ মূহুর্তে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারপর এ বিষয়ে মনে নানান প্রশ্ন আসে ও দ্বিধা কাজ করে। এছাড়াও দীনদার মানুষজন ছাড়া অন্য কাউকে তার ভালো লাগে না। মিশতে পারে না। জিন-জাদুর সমস্যা থাকা ও আগ্রহ না থাকায় লাগাতার বিয়ে বিষয়ক দুআ করতে ভয় পায়। নিয়ামতের কদর করার সামর্থ্য না থাকলে সে নিয়ামত চাওয়াতে সে ভয় করে। কোথাও চাকরীর জন্যও মানাতে কষ্ট হয় তার।

প্রশ্ন হলো:

১) তার জন্য বিয়ের বিধান কি? এতে কি অন্যের হক নষ্টের ব্যাপার আছে? যেহেতু আগ্রহ স্থির থাকে না।

২) যদি বিধান নিষেধ পর্যায়ের হয়, তাহলে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে বিয়ের পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেয়া কি নিয়ত বা শিরক জাতীয় গুনাহ হবে?
৩) এ পরিস্থিতিতে যদি কোন দীনদার পাওয়া যায়, তাহলে নিজের সাথে জোর কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে পাত্রকে কি জিন-জাদুর প্রভাবের কথা জানিয়ে দিতে হবে? কারণ বর্তমান অবস্থা ভালো না ও পরবর্তী অবস্থারও নিশ্চয়তা নেই।

৪) এ অবস্থায় পরিবারে নিজের বোঝা হালকা করতে কোথাও চাকরী করতে পারবে? আপাতত মাদ্রাসায় পড়ানোর ফিকিরে আছে। যদিও মিলছে না ভালো।

গুনাহের ভয় ও কিছু পরিস্থিতি মোকাবেলায় পড়ে ফতওয়া জানতে বাধ্য সে। আল্লাহ ভরসা

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে প্রশ্নের নাম্বার আপনি দেননি।দয়াকরে পূর্বের প্রশ্নের নাম্বারটি সংযোজন করে দিবেন।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার অসুস্থতার কথা জানিয়ে দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করে নিবেন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (616,950 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
reshown
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,
আমার ৪টা প্রশ্ন ছিলো।
দয়া করে বিস্তারিত বললে উপকার হতো।
অনেক দিন থেকেই খুব সংশয়ে আছি।
বিগত প্রশ্নের উত্তরে ছেলের জন্য বিধান বলা হয়েছিলো। এটা একটা মেয়ের সমস্যা। তার জন্য ৪টা প্রশ্নের উত্তর কি হবে? 

বিগত প্রশ্নের লিঙ্ক: https://ifatwa.info/62724/

by (616,950 points)
ছেলে মেয়ে সবার বেলায় বিয়ের ক্ষেত্র একই বিধান তো হওয়ার কথা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...