আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by

প্রশ্ন ১: তালাকের স্বীকারোক্তি বিষয়টি কি? তালাকের স্বীকারোক্তি (সত্য বা মিথ্যা) সংঘটনের জন্য মজলিশ হওয়া আবশ্যক কি? নাকি কেউ একাকী মুখে বললেই সংঘটিত হয়ে যায়?

প্রশ্ন ২: এক চাকুরিজীবী ব্যাক্তির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে একটি কোম্পানির কিছু টাকা প্রাপ্য হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিলটি পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঐ ব্যাক্তিটিকে বিল পরিশোধের জন্য বললে পরবর্তীতে ঐ ব্যাক্তিটি সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয় এবং https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 এই প্রশ্নটি করে। শর্তযুক্ত তালাকের শর্ত কি উচ্চারিত হয়েছে?-এ বিষয়ে প্রশ্নটি ছিল।

কিন্তু জবাবটি পেতে সময় লাগার ফলে ঐ সময়ে পুনরায় ব্যাক্তিটি নতুন করে কিছু চিন্তায় পরে যায়। https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 প্রশ্নের জবাবে যদি শর্ত পতিত হবার জবাব আসে সেক্ষেত্রে কি কি ঘটনা ঘটলে শর্ত পাওয়া যাবে সেটা ভাবতেছিল। ব্যাক্তিটি এই ভাবনার (বা চিন্তার) সময় নিম্নলিখিত কিছু প্রশ্ন করার চিন্তা (মনস্থির) করে।

ক) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজটির কিছু অংশ না করলে (অর্থাৎ কিছু পরিমান বিল পরিশোধ না করলে) কি কোনো শর্ত পাওয়া যাবে?
খ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলটি পরিশোধ না করলে কি কোনো শর্ত পাওয়া যাবে? কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কত দিনের বেশি বিলম্ব করলে শর্ত পাওয়া যাবে?
(সমগ্র বিষয়টি উপলব্ধির জন্য উপরের https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 জিজ্ঞাসাটি সবিস্তারে দেখার অনুরোধ করছি।)

উপরের ক ও খ কিন্তু মূল প্রশ্ন নয়, বরং ক ও খ এবং এজাতীয় বিষয় চিন্তার সময় ব্যাক্তিটির হঠাৎ করে খেয়াল হল তার ঠোঁট-মুখ-জিহবা নড়ছে। কিন্তু উচ্চারণের কোনো আওয়াজ শুনতে পায়নি।

মূল প্রশ্ন হল-
২.১। উপরের ক ও খ এবং এজাতীয় বিষয় চিন্তার সময় বর্ণিত পরিস্থিতিতে কি শর্তযুক্ত তালাকের শর্ত উচ্চারিত হয়ে যাবার কোনো স্বীকারোক্তি হয়েছে?
২.২। ক ও খ এবং এজাতীয় বিষয়গুলো চিন্তার সময় ব্যক্তিটি যদি ঠোঁট-জিহবা নাড়িয়ে আওয়াজ সহকারে উচ্চারণ করতো সেক্ষেত্রে কি শর্তযুক্ত তালাকের শর্ত উচ্চারিত হয়ে যাবার কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হত?

প্রশ্ন ৩: পরবর্তীতে ঐ ব্যাক্তিটি দাপ্তরিক কাজে ব্যাবহারযোগ্য চেকবইয়ের পাতার সংখ্যা সংশ্লিষ্ট কর্মীর থেকে জানতে চান। সংখ্যাটি জেনে ব্যাক্তিটি বলে ওঠেন- "যাক, এমাস চলবে"। এই বাক্যটি বলার পরপরই ওই বিশেষ কোম্পানির প্রাপ্য টাকার চেক পরিশোধের চিন্তা তার মাথায় আসে।
প্রশ্ন হল- ওই বাক্যটি বলার আগে বা পরে এরুপ চিন্তা আসার ফলে কি শর্তযুক্ত তালাকের শর্ত উচ্চারিত হয়ে যাবার কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হয়েছে? (এটা https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 জবাব প্রাপ্তির পরের ঘটনা।)

প্রশ্ন ৪: অফিসের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকর্মী ঐ ব্যাক্তিটিকে বলেন- এখন থেকে অফিসের অ্যাকাউন্ট এবং বিলসংক্রান্ত সকল কাজ নিয়ম অনুযায়ী হবে। ব্যাক্তিটি মুখে বলেন- হ্যাঁ, সেটাই। কিন্তু সাথে সাথে https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 এই প্রশ্নটির কথা ব্যাক্তিটির চিন্তায় চলে আসে। এভাবে হ্যাঁ বলার আগে বা পরে এরুপ চিন্তা আসার ফলে কি কোনো শর্ত উচ্চারিত হয়ে গিয়েছে? বা কি কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হয়ে গিয়েছে? বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৫: ক্যাশ-অ্যাকাউন্ট-বিলসংক্রান্ত কাজে যুক্ত একজন সহকর্মীকে ঐ ব্যাক্তিটি সব কাজ গুছিয়ে এনেছেন কিনা জিজ্ঞেস করেন। জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 এই প্রশ্নটির কথা ব্যাক্তিটির চিন্তায় চলে আসে। এভাবে জিজ্ঞেস করার আগে বা পরে এরুপ চিন্তা আসার ফলে কি কোনো শর্ত উচ্চারিত হয়ে গিয়েছে? বা কি কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হয়ে গিয়েছে? বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৬: ব্যাক্তিটি স্ত্রীর সাথে কথা প্রসঙ্গে একসকালে বলল যে- দুপুরে বাসায় খেতে আসবেনা, অফিসে অনেক কাজ আছে। কিন্তু সাথে সাথে https://ifatwa.info/61766/?show=61766#q61766 এই প্রশ্নটির কথা এবং উপরের প্রশ্নগুলোতে বর্ণিত সামগ্রিক বিষয় ব্যাক্তিটির চিন্তায় চলে আসে। এই কথোপকথনের আগে বা পরে এসব চিন্তা মাথায় চলে আসলে বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৭: এই প্রশ্নগুলো করার দ্বারা কি শর্তযুক্ত তালাকের শর্ত উচ্চারণের কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হয়েছে? টাইপিং এর সময় শব্দ/বাক্যাংশ আগে-পরে-মধ্যখানে টাইপ করে, মুছে বা এডিট করে, দাড়ি-কমা-প্রশ্নবোধক চিহ্ন একভাবে বসিয়ে পরে আবার এদিক সেদিক করে চিহ্নগুলো পরস্পরের সাথে পরিবর্তন করে প্রশ্নটি প্রস্তুত করার মুহূর্তে নানারকম চিন্তা মনে এসেছিল। এর দ্বারা কি কোনো শর্ত পতিত হয়ে গিয়েছে? বা কি কোনো স্বীকারোক্তি সংঘটিত হয়ে গিয়েছে? বৈবাহিক সম্পর্কে কি কোনো সমস্যা হবে?

বিজ্ঞ মুফতি সাহেবগণ, ভীষণ চিন্তা মনে আসে। বিরক্ত করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনুরোধ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।

by (25 points)
edited by
বিজ্ঞ মুফতি সাহেবগণ,
জিজ্ঞাসাগুলো হল- ১, ২.১, ২.২, ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৭।
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
by (583,410 points)
 আপনি ওয়াটসাফে কল দিবেন। ০১৭১৭৯১৭৬৮৬

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নগুলো পড়েছি, সম্পূর্ণ বুঝতে না পারলেও যা বুঝেছি, সেটা হল, বাস্তবে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হল, ওয়াসওয়াসা। আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত মনে হচ্ছে, তাই আপনাকে বলবো, এই বিষয়ে নিয়ে টেনশন করা বন্ধ করবেন।আপনার বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...