আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পবিত্রতা (Purity) by (56 points)
edited by
সকালে সপ্ন দোষের পর দুপুরে সপ্নদোষের কথা ভুলে যাওয়ার কারণে কাপড় চেক করা হয়নি।যে কারনে ফরজ গোসল করা হয়নি তবে পরের দিন সকালে মনে হলো কাল সকালে তো সপ্নদোষ হলো সেটা ভুলে গেছি তাই কাপড়ও চেক করা হয়নি এঅবস্থায় ৪ ওয়াক্ত(জোহর,আসর,মাগরিব এশা) নামাজ পড়া হয়ে গেছে।পরে পরের দিন সকালে ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে গিয়ে মনে পড়ছে কিন্তু ইচ্ছা করেই সকালে ফরজ গোসল না করে নামাজ আদায় করেছি কারন আমি শিওরই হতে পারছি না বির্যপাত হয়েছে কিনা কারন আগেরদিন তো সপ্নদোষের কথা মনে না থাকার কারনে কাপর চেক করতে ভুলে গেছিলাম।

১.তে আমি নামাজ গুলো কি কাজা করবো??আমি তো কাপড় ওভাবে চেক করে দেখিনি

২. নামাজগুলো কাজা হিসেবে গন্য হবে? যদি হয় তাহলে কিভাবে আদায় করবো ৫ ওয়াক্ত নামাজ?
৩.যেহেতু সকাল বেলা সপ্নদোষের কথা মনে পড়া সত্বেও ফরজ গোসল ছাড়া ইচ্ছে করে ফজরের নামাজ আদায় করে ফেলেছি।এতে কি আমার ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারীর সমান গুনাহ হবে?? আমার বির্যপাতের কথা তো স্মরনই নাই কারন চেক করিনি সপ্নদোষের পর।

৪.যেহেতু ৪ ওয়াক্ত নামাজ ভুলে মনে না থাকার কারনে কাজা হয়েছে আর ১ ওয়াক্ত নামাজ মনে পড়ার পরও গোসল ছাড়া আদায় করে ফেলেছি।এতে কাজা আদায়ের ধরন কেমন হবে ৪ ও ১ ওয়াক্ত নামাজের?

৫.ফরজ গোসলের আগে ওজু করে নিয়েছি।ওজুর পর যাতদুর মনে পরে সম্ভবত আবার কুলি ও নাকে পানি দিয়েছি সন্দেহ হচ্ছে ।তবুও জোহরের নামাজ আদায়ের কিছু সময় পর মনে হচ্ছে কুলি করছি কিনা সন্দেহ হচ্ছে কুলি নিয়ে।এতে কি আমার ফরজ গোসল আদায় হয়েছিল নাকি হয় নি? ওজু করার পর সন্দেহ হচ্ছে বারবার।

৬.৫ নং এ উল্লেখিত গোসলের পরে সন্দেহের কারনে আবারও ফরজ গোসল করি শুরুতে ওজু করে নি গোসল শেষে পা ধোয়ার আগে বা পরে আবারও হয়তো কুলি করি ও নাকে পানি দি (সন্দেহ হচ্ছে) কিন্তু যখন গোসল করা শেষে পা ধুয়ে কাপড় পড়ে ওয়াসরুম থেকে বের হওয়ার পর আবারও মনে সন্দেহ জাগে কুলি করলাম কিনা? এমতাবস্থায় আমার কি করনীয় ২ বার গোসল করলাম সন্দেহের কারনে।আবারও কি গোসল করতে হবে?

৭.নামাজ পড়তে গেলেও প্রায় প্রত্যেক রাকাতেই সন্দেহ হয় কয়টা সেজদা দিলাম সূরা ফাতেহা পড়লাম কিনা,রাকাত নিয়ে মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়।প্রত্যেক ওয়াক্তেই সহু সেজদা দিতে হয়।আবার ওজুতে অঙ্গ ধোঁয়া নিয়ে সমস্যা হয় মনে হয় ধোয়া হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি।আমার করনীয় কি?? আমি কি ওয়াসওয়াসার রোগী হয়ে গেলাম?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560

পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত শরীয়তের কোনো বিধানই বাস্তবায়িত হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নগুলো বুঝা যাচ্ছে না, যা বুঝেছি সংক্ষেপে আপনার করণীয় কি? সেটা বলছি,
স্বপ্নদোষ হওয়ার পর যতগুলো নামায আপনি ভুলে পড়ে নিয়েছেন, সেই সবগুলি নামাযের কাযা পড়তে হবে। যেহেতু আপনি ভুলে গোসল ব্যতিত নামায পড়ে নিয়েছেন কিংবা পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস না থাকার দরুণ নামায পড়ে নিয়েছেন, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (56 points)
৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তরটা একটু যদি দিতেন!
by (590,550 points)
আপনার প্রশ্নগুলো বুঝা যাচ্ছে না।তাই দয়া করে আমাকে কল দিবেন।জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...