আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
১। একজন নাস্তিক, যে আল্লাহ রাসুলকে গালি দেয় না, কিন্তু ইসলামের প্রতি বিদ্বেশ রয়েছে মনে, সেকুলার ধরনের, কিন্তু ধার্মিক ( মোল্লা, দাড়িটুপিআলা ) মানুষদের দেখতে পারে না, মানে, ধর্ম নিয়ে তার আপত্তি, স্বাধীনচেতা ধরনের। এধরনের মানুষের সাথে ব্যবহার কেমন হবে? স্বাভাবিক কথা বলা যাবে, নাকি একদম চুপচাপ থাকতে হবে তাদের সামনে?

২। যদি আমার প্যান্ট লম্বা হয় ( টাখনু ঢেকে যায় )  নামাজে কি তা গুটিয়ে নেয়া যাবে? ( যেহেতু কাপড় গুটিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ বলা হয়েছে )
৩। যদি প্যান্ট দাঁড়ানো অবস্থায় স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু রুকুতে যাওয়ার সময় প্রায় অর্দধেকটা টাখনু ঢেকে ফেলে, তাহলে কি সমস্যা হবে?

৪। নামাজের সময় হাতা গুটিয়ে পড়া কি অনুচিত?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ইমাম নববী রাহ আল-আযকার কিতাবে লিখেন,
وَذَكَرَ فِي الأَْذْكَارِ أَنَّ الْمُبْتَدِعَ وَمَنِ اقْتَرَفَ ذَنْبًا عَظِيمًا وَلَمْ يَتُبْ مِنْهُ يَنْبَغِي أَنْ لاَ يُسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَلاَ يُرَدَّ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ.
বিদাতি এবং বড় গোনাহকে স্বীকারকারী যে আবার তাওবাহও করেনি,এমন ব্যক্তিদ্বয়কে সালাম না করাই উচিৎ।এবং তাদের সালামের জবাব না দেয়াই উচিৎ।(২৫/২৬৭)
তবে তাকে দাওয়াত দিতে হবে।এটা এলাকার সবার উপর ফরযে কেফায়া।

(২)ঘন্টার নিচে প্যান্ট চলে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি।গুটিয়ে বলতে টাখনুর উপরে ছিলো,তখন আরো ঘুটিয়ে নেয়া মাকরুহ।অন্যথায় মাকরুহ হবে না।

(৩)না সমস্যা হবে না।মূল ধর্তব্য দাড়ানোর সময়েই।

(৪)
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত।
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةٍ لاَ أَكُفُّ شَعَرًا وَلاَ ثَوْبًا
.قال الحافظ ابن حجر رحمه الله في "الفتح" : " وَالْكَفْت هُوَ الضَّمّ وَهُوَ بِمَعْنَى الْكَفّ" .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি সাত অঙ্গে সিজদা্ করতে, সালাতের মধ্যে চুল একত্র না করতে এবং কাপড় টেনে না ধরতে নির্দেশিত হয়েছি। (সহীহ বোখারী-৮১৬, সহীহ মুসলিম-৪৯০)

এই হাদীসের আলোকের সাধারণ অবস্থায় হাতাকে টেনে উপরের দিকে তুলে নামায পড়াকে মাকরুহ বলা হয়। তাছাড়া সালাফে সালেহীদের সাধারণ মা'মুল ছিল যে, তারা পরিপূর্ণ কাপড় পরিধান করেই নামায পড়তেন। নেককার লোকদের পোষাককে আল্লাহ অত্যান্ত পছন্দ করে থাকেন। সুতরাং শার্ট পরিধান করা কারো মজবুরি হয়, সে যেন লম্বা হাত সম্ভলিত শার্ট বা টি শার্ট পরিধান করে নেয়। হাফ শার্ট পরিহিত অবস্থায় যদি কারো নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সে নামাযকে পরিত্যাগ করবে না।বরং নামায পড়ে নেবে।তখন নামাযকে পরিত্যাগ করা জায়েয হবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5745


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...