ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/389
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
(১)
অসুস্থতার কারণে পাক-পবিত্রতা অর্জন করা কষ্টকর হলে, সে নাপাক কাপড় পরিধান অবস্থায় মোবাইল বা ল্যাপটপ স্ক্রীন-এ কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।এবং অজু বা তায়াম্মুম করে কুরআনকে স্পর্শও করতে পারবে।তবে পবিত্রতম কাপড় পরিধান পূর্বক কুরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শ করাই উত্তম।
(২)
তায়াম্মুম করা ছাড়া কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে তবে স্পর্শ করা যাবে না।
(৩)
সে যদি তায়াম্মুম করে নেয় কিন্তু নাপাক কাপড় চেঞ্জ না করে, তাহলেও সে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।
(৪)
সে যদি খুব কষ্ট করে নাপাক কাপড় চেঞ্জ করে ফেলে, কিন্ত জায়গা নাপাক থাকলে, তাহলেও সে মোবাইলে বা ল্যাপটপে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে। হ্যা, উত্তম হল, সম্পূর্ণ পবিত্র হয়েই কুরআন স্পর্শ করা ও কুরআন তিলাওয়াত করা।
