আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
edited by

১. আজকে সকালে টিশাট বিষয়ে একটি প্রশ্ন করি (লিংকঃ https://ifatwa.info/62636/  ) সেখানে আপনি বলেন সদকা করলে হবে না, তাদের ফিরত দিতে হবে, এই বিষয়টা পরিষ্কার হতে চাই।

মুফতি সাহেব, আমাদের বিভাগ থেকে কিছুই বলে নাই খরচের বিষয়ে, আমাদের উপর সব কিছুর দায়িত্ব দিয়েছে যেখানে যা লাগে সব কিছু আমরাই এরেঞ্জ করেছি । আর ডিজাইনিং এর কাজ তো অন্য কাজের মতো না, ডিজাইনার দের চার্জ থাকে সাধারণত,। যাই হোক  সেটা বিষয় না, বিষয়  হলো মুফতি সাহেব, এখন তো এই টিশাট এর মালিক কেও নাই। কাকে ফেরত দিবো?  টিশাট তো বিভাগে জমা নিবে না। শ খানেক মানুষ গিয়েছে। অতিরিক্ত যে টাকা আছে তা স্যার বলেছেন আমাদের কাছে রেখে দিয়ে,  ডিপার্টমেন্টের কোনো কাজে লাগাতে, সুতরাং যাদের টাকা থেকে এটা এসেছে এই দাম কিভাবে সবার মাঝে ফিরিয়ে দিবো? এখন কি করনীয় একরু বলবেন কি? আমি এইটা আমার কাছে রাখতে চাই।

২. আমার নামাজে অনেক সন্দেহ হয় ঢ়ার দরুন মাঝেমধ্যে সাহু সিজদা দেই, পরে জানতে পারি যদি কেও সন্দেহের দরুন সাহু সিজদা দেয়, তবে তাকে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিতে হবে,  স্বাভাবিক বাবে একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিলে আর সেই নামাজে সাহু সিজদা ওয়াজিব না হলে নামাজটি দুহরাতে হবে। আর দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিলে ওয়াজিব তরক হলেও নামাজ হবে না হলেও হবে।

এখন আমি অতীতে কিছু নামাজ এভাবে পরেছিলাম সন্দেহ হয়েছে একদিকে সাহু সিজদা দিয়েছি নামাজ পরেছি, এখন আমার তো কোনো প্রকার কোনো আইডিয়াই নেই কতো রাকাত এভাবে পরেছি,।  এখন কিভাবে এগুলো দুহরাবো, আন্তজ করার উপায় ই পাচ্ছি না, কোনো আইডিয়াই পাইতেছি না, কয় রাকাত ধরবো কি করবো। একটা  পরামর্শ দিন কি করবো?

৩. নামাজে কেও সাহু সিজদা ওয়াজিব হলে,  দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিলে কি নামাজ হবে না কি হবে না?

৪. হিন্দু কাওকে কেও যদি বলে  দোয়া করিয়ো, তাহলে কি কুফর হয়?

৫. জামাতে নামাজ পড়া কালীন, রুকু সিজদায় যাওয়ার সময় যে তাকবীর দেওয়া হয় তা যদি ইমাম ধীরে দেয়,  (জোরে না বলে মনে  মনে বলেন) তবে কি নামাজ হবে? না কি দুহরাতে।হবে?

৬. আমার বউ মনে করে যে মেয়েদের জন্য লাল রঙ্গের কাপড় পরিধান ঠিক নয় বা হয়তো না জায়েজ  মনে করে(কোাথাও থেকে শুনেছে মনে হয়) আমি সরাসরি ওকে এই বিষয়ে ওকে কিছু না বললেও ওর এই ভুল ভাঙ্গি না, কারণ এই উছিলায় সে অনেক ধরনের কাপড় যা পড়লে পুরো পর্দা রক্ষা হয়,  অন্তত সেই কয়টা থেকে দূরে থাকে। আমার ওর ভুল না ভাঙ্গার জন্য কি গুনাহ হবে? বা ওর এই সব ধারনার জন্য কি গুনাহ হবে? বা ইমানে সমস্যা হবে?

৭."মে শুনা হে ইস দুনিয়া তু চালাতা হে,     ছারে দুনিয়া তেরি আগে ছার জুকাতা হে,  ভাগওয়ান হে কাহা রে তু,  হে খোদা হে কাহা রে তু? "  এই লাইনগুলোতে কি কুফরি কিছু আছে?কেও গাইলে কি কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
ডিজাইনিং এর কাজ যেহেতু অন্য কাজের মতো নয়, বাহিরের ডিজাইনার দের দিয়ে করালে যেহেতু চার্জ দিতেই হতো,সেক্ষেত্রে কাজটি আপনি নিজেই করেছেন।
তাই আপনি চার্জ গ্রহনের উপযুক্ত। 
,
এক্ষেত্রে আপনাদের বিভাগ যাদেরকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলো,তাদের সকলের সম্মতি থাকলে আপনি ডিজাইনের চার্জ হিসেবেই  উক্ত টিশার্ট গ্রহন করতে পারবেন।
,
আর যদি তারা সকলে আপনাকে চার্জ দিতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে আপনি ঐ *ফান্ডে টিশার্ট এর টাকা দিয়ে দিবেন।

*ফান্ড দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, প্রশ্নে যে উল্লেখ রয়েছেঃ-
অতিরিক্ত যে টাকা আছে তা স্যার বলেছেন আমাদের কাছে রেখে দিয়ে,  ডিপার্টমেন্টের কোনো কাজে লাগাতে।

এখানে টিশার্ট এর টাকা জমা রাখবেন।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لِكُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ "

সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের যেকোন ভুলের জন্য সালাম ফিরানোর পর দু‘টি সিজদা্ করতে হয়।
(আবু দাউদ ১০৩৮.ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সালাত ক্বায়িম, অনুঃ সালামের পর সাহু সিজদা করা, হাঃ ১২১৯), আহমাদ (৫/২৮০), বায়হাক্বী (২/৩৩৭)

(یجب بعد سلام واحد عن یمینہ فقط).... (قولہ واحد) ہذا قول الجمہور، منہم شیخ الإسلام وفخر الإسلام. وقال فی الکافی: إنہ الصواب، وعلیہ الجمہور، وإلیہ أشار فی الأصل اہ إلا أن مختار فخر الإسلام کونہ تلقاء وجہہ من غیر انحراف، وقیل یأتی بالتسلیمتین، وہو اختیار شمس الأئمة وصدر الإسلام أخی فخر الإسلام وصححہ فی الہدایة والظہیریة والمفید والینابیع، کذا فی شرح المنیة.
সারমর্মঃ-
সেজদায়ে সাহুর ক্ষেত্রে শুধু ডান দিকে এক সালাম ওয়াজিব।
এটিই জমহুরের মত। তবে কেহ কেহ দুই সালামের কথাও বলেছেন।
(ফাতাওয়ায়ে শামি ২/৫৪০ মাকতাবায়ে যাকারিয়া দেওবন্দ)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৪১।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দুই সালাম ফিরানোর পর আপনি যদি নামাজ বিরোধী কোনো কাজ তথা নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কোনো কাজ না করে থাকেন, (যেমন নিজ জায়গা থেকে যদি উঠে চলে না যান, সিনা কেবলা হতে না ফিরিয়ে থাকেন, কথাবার্তা না বলে থাকেন,  কিছু না খেয়ে থাকেন,কিছুই পান না করে থাকেন, অযু ভেঙ্গে না গিয়ে থাকেন)
তাহলে তৎক্ষনাৎ সেজদায়ে সাহু দিয়ে তাশাহুদ ইত্যাদি পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে থাকেন,তাহলে উক্ত নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

নতুবা পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা আবশ্যক হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে পূর্বের কোনো নামাজই পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে এখন থেকে  আপনি সেজদায়ে সাহুর ক্ষেত্রে এক সালাম ফিরাবেন।

(০৩)
উপরের ২য় নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৪)
এতে কুফর হবেনা।
তবে এটি জায়েজ নয়।

(০৫)
নামাজ হয়ে যাবে।
নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে এটি সুন্নাতের খেলাফ কাজ।

(০৬)
আপনার তার ঐ ভুল না ভাঙ্গার কারনে গুনাহ হবেনা।
তার ঐ সব ধারনার কারনে গুনাহ হবেনা।
ঈমানের সমস্যাও হবেনা।

(০৭)
এই গানে ভগবান শব্দ বলা হয়েছে,যাহা বলে হিন্দুরা ডাকে।
তাই এহেন বাক্য বলার সুযোগ ইসলামে নেই।

এখানে ভগবান বলতে এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বুঝানো উদ্দেশ্য হলে এটি কুফরি। 

তবে কোনো মুসলিম নিজ আকিদা বিশুদ্ধ রেখে গাইলে কুফরি হবেনা। 

আর রক আল্লাহকেই বুঝানো উদ্দেশ্য হলে বলা হবে যে এই গানটিতে কুফরি নেই।

কেউ গাইলে কুফরি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...