https://ifatwa.info/56881/ ফতোয়াতে ডিশ ব্যবসায়ী পিতার বিবাহিত কন্যার, পিতা থেকে কিছু গ্রহণ করা জায়েজ নেই৷ এক্ষেত্রে
১) যখন বাবার বাড়ি যাওয়া হয়, তখন ওখানকার খাবার খাওয়া নিয়ে কি মাসালা?
২) আমার আব্বু প্রায়ই আমাকে টাকা দিতে চায়,আমি না করি৷ এমনকি শেষ বার উনি খুব বিরক্ত হয়, তাই পাঠানোর জন্য নাম্বার দিয়েছিলাম৷ কিন্তু সিম বন্ধ থাকায় পাঠাতে পারেননি৷ এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? একান্তই টাকা গুলো নিতে হলে, আমি কি কাউকে দিয়ে দিবো? নাকি আব্বুদের জন্যই খরচ করবো? নাকি এমন করা যায় কিনা যে, আম্মুর সাথে কথা বলা ওনার প্রয়োজনে খরচ করা এবং বলা যে "এটা কিন্তু আব্বুর টাকা"৷
অথবা, নাকি কোনো কিছুই জায়েজ নেই, আমি কিছু না বলে আব্বুর টাকা রাখার জায়গায় টাকাগুলো রেখে দিবো?
৩) আব্বুরা যদি সরাসরি লাগানো গাছ থেকে কিছু দিতে চায়, যেমন সজনে পাতা,তুলশি এসব দিলে কি নেয়া যাবে? আর এছাড়া আব্বুরা নিজেদের জন্য মাছ চাষ করে নিজেদের পুকুরে৷ প্রায়ই সেটা দিতে চায়, কিন্তু আগে আমি নিতে চাইতাম না কারন, সমাজের ধরা বাধা যে নিয়ম,"মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে এটা ওটা আসবে" , তাই চেয়েছিলাম ১ বছর দেখি শ্বশুর বাড়ির মনোভাব৷ তারপর৷
কিন্তু যে সব জিনিস পরিশ্রম করে দিতে হয়,যেমন পিঠা বানিয়ে পাঠানো এরকম খাটনি জাতীয় কিছু পাঠানো একদম নিষেধ করেছিলাম৷ হয়তো যেসব জিনিস আব্বুদের প্রয়োজন পূরণের পর বাড়তি থাকে সেগুলো নিলে নিতাম৷
তবে এখন যখন ফতোয়াতে জানলাম, আব্বুর হারাম ইনকাম তাছাড়া এখন শাশুড়ির মনোভাব দেখে, "তারা এসব আশা করে" বরং শাশুড়ী পরোক্ষভাবে মাঝে মধ্যে আম্মুদের ইংগিত করে কথা শোনায়৷ এসবে আরো কিছু নেয়ার ইচ্ছে হয়না৷
৪) আব্বুদের এখানে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো কেউ খাবেনা, অযথা পড়ে আছে৷ ওটা আমিই খেতাম,তো এখন তাদের না জানিয়ে ওটার মূল্য তাদের কাছে রেখে দিলে, ওটা নিয়ে নেয়া কি আমার জন্য জায়েজ হবে?
৫) আমার আহালের ইনকামো হারাম৷
তাদের বাসায় সবারই অর্থে হারাম মিক্স আছে৷ এদিকে আমার শরীরের অবস্থা এতোটাই খারপ যে বুকের নিচের হাড় দৃশ্যমান৷
আহালের হারাম বিজনেসের কারনে (মেয়েদের ছবি এডিট, ডেকর বিজনেসে ফ্রী মিক্সিং পরিবেশে থাকা, মেয়ে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে চোখ নিচে না রাখা,যখন তখন কথা বলা) শুরুর দিকে প্রয়োজন টুকুও খেতে কষ্ট হতো, কষ্টে৷
কিন্তু, তারপরো শরীরের দিকে চিন্তা করে আপনাদের
https://ifatwa.info/57040/ ফতোয়া অনুযায়ী,
আমি খাবার যথেষ্ট, বা ভরা পেট চেয়ে কম খাওয়া শুরু করি,মাঝে মধ্যে বা প্রায়ই ভরপেটো হয়ে যায় নাফসের খায়েশাতে৷?
তবুও (যথেষ্ট বা প্রয়োজন মতো)খেলেও বার বার বলে খেতে, এতে আমি না শুনলে কি গুনাহ?৷
আমার শরীরের এই অবস্থা শুধু খাবারের জন্য এমন না৷ থায়রয়েড সমস্যা, টেনশন করা, এসব কারনেও৷
সর্বোপরি আমাকে কোনো পরামর্শ বা নাসিহা দিলে মেহেরবান হতো