আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (42 points)
edited by
https://ifatwa.info/56881/ ফতোয়াতে ডিশ ব্যবসায়ী পিতার বিবাহিত কন্যার, পিতা থেকে কিছু গ্রহণ করা জায়েজ নেই৷ এক্ষেত্রে
১) যখন বাবার বাড়ি যাওয়া হয়, তখন ওখানকার খাবার খাওয়া নিয়ে কি মাসালা?

২) আমার আব্বু প্রায়ই আমাকে টাকা দিতে চায়,আমি না করি৷ এমনকি শেষ বার উনি খুব বিরক্ত হয়, তাই পাঠানোর জন্য নাম্বার দিয়েছিলাম৷ কিন্তু সিম বন্ধ থাকায় পাঠাতে পারেননি৷ এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? একান্তই টাকা গুলো নিতে হলে,  আমি কি কাউকে দিয়ে দিবো? নাকি আব্বুদের জন্যই খরচ করবো? নাকি এমন করা যায় কিনা যে, আম্মুর সাথে কথা বলা ওনার প্রয়োজনে খরচ করা এবং বলা যে "এটা কিন্তু আব্বুর টাকা"৷
অথবা, নাকি কোনো কিছুই জায়েজ নেই, আমি কিছু না বলে আব্বুর টাকা রাখার জায়গায় টাকাগুলো রেখে দিবো?

৩) আব্বুরা যদি সরাসরি লাগানো গাছ থেকে কিছু দিতে চায়, যেমন সজনে পাতা,তুলশি এসব দিলে কি নেয়া যাবে? আর এছাড়া আব্বুরা নিজেদের জন্য মাছ চাষ করে নিজেদের পুকুরে৷ প্রায়ই সেটা দিতে চায়, কিন্তু আগে আমি নিতে চাইতাম না কারন, সমাজের ধরা বাধা যে নিয়ম,"মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে এটা ওটা আসবে" , তাই চেয়েছিলাম ১ বছর দেখি শ্বশুর বাড়ির মনোভাব৷ তারপর৷
কিন্তু যে সব জিনিস পরিশ্রম করে দিতে হয়,যেমন পিঠা বানিয়ে পাঠানো এরকম খাটনি জাতীয় কিছু পাঠানো একদম নিষেধ করেছিলাম৷ হয়তো যেসব জিনিস আব্বুদের প্রয়োজন পূরণের পর বাড়তি থাকে সেগুলো নিলে নিতাম৷
তবে এখন যখন ফতোয়াতে জানলাম, আব্বুর হারাম ইনকাম তাছাড়া এখন শাশুড়ির মনোভাব দেখে, "তারা এসব আশা করে" বরং শাশুড়ী পরোক্ষভাবে মাঝে মধ্যে আম্মুদের ইংগিত করে কথা শোনায়৷  এসবে আরো কিছু নেয়ার ইচ্ছে হয়না৷

৪) আব্বুদের এখানে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো কেউ খাবেনা, অযথা পড়ে আছে৷ ওটা আমিই খেতাম,তো এখন তাদের না জানিয়ে ওটার মূল্য তাদের কাছে রেখে দিলে, ওটা নিয়ে নেয়া কি আমার জন্য জায়েজ হবে?

৫) আমার আহালের ইনকামো হারাম৷
তাদের বাসায় সবারই অর্থে হারাম মিক্স আছে৷ এদিকে আমার শরীরের অবস্থা এতোটাই খারপ যে বুকের নিচের হাড় দৃশ্যমান৷
আহালের হারাম বিজনেসের কারনে (মেয়েদের ছবি এডিট, ডেকর বিজনেসে ফ্রী মিক্সিং পরিবেশে থাকা, মেয়ে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে চোখ নিচে না রাখা,যখন তখন কথা বলা) শুরুর দিকে প্রয়োজন টুকুও খেতে কষ্ট হতো, কষ্টে৷
কিন্তু, তারপরো শরীরের দিকে চিন্তা করে আপনাদের https://ifatwa.info/57040/ ফতোয়া অনুযায়ী,
আমি খাবার যথেষ্ট, বা ভরা পেট চেয়ে কম খাওয়া শুরু করি,মাঝে মধ্যে বা প্রায়ই ভরপেটো হয়ে যায় নাফসের খায়েশাতে৷?
তবুও (যথেষ্ট বা প্রয়োজন মতো)খেলেও বার বার বলে খেতে, এতে আমি না শুনলে কি গুনাহ?৷
আমার শরীরের এই অবস্থা শুধু খাবারের জন্য এমন না৷ থায়রয়েড সমস্যা, টেনশন করা, এসব কারনেও৷

সর্বোপরি আমাকে কোনো পরামর্শ বা নাসিহা দিলে মেহেরবান হতো

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরনপোষণ ওয়াজিব।
হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।

وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)

তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যখন বাবার বাসায় যাওয়া হয়,সেক্ষেত্রে স্বামী বাজার করে দিবে বা বাজারের টাকা দিবে।

অথবা সেখানে যাহা কিছু খাওয়া হবে,সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

(০২)
আপনি সেই টাকা আপনার বাবাকে বাজার করে দেয়া/গিফট ইত্যাদি দেয়ার মাধ্যমে ফেরত দিবেন।
তথা যেকোনো উপায়ে হোক তাহা/বা সেই টাকা দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করে বাবাকে দিবেন।

বাবাকে দেয়া সম্ভব না হলে গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।

(০৩)
গাছ যদি এই হারাম টাকা দিয়েই ক্রয় কৃত হয়,তাহলে সেই গাছ থেকে কিছু দিলে নেয়া যাবেনা।
নিলে গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।

হ্যাঁ যদি সেই গাছ এই হারাম টাকায় ক্রয়কৃত না হয়,হালাল টাকায় ক্রয়কৃত হয় বা এমনিতেই কোথাও থেকে নিয়ে এসে লাগায়,বা কেউ হাদিয়ে হিসেবে দেয়,বা আগে থেকেই বাসায় ছিলো।
সেক্ষেত্রে সেই গাছ থেকে কিছু দিলে নেয়া যাবে।

একই বিধান আপনার বাবা যে নিজেদের জন্য মাছ চাষ করে নিজেদের পুকুরে।
সেই মাছেরও একই বিধান।

এই হারাম টাকায় মাছ চাষ করা হলে সেই মাছ নেয়া যাবেনা।
নিলে গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।

তবে হালাল টাকায় মাছ চাষ করা হলে সেই মাছ নেয়া যাবে।

(০৪)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।

(০৫)
আপনার স্বামীর সম্পূর্ণ ইনকাম হারাম নয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে "মেয়েদের ছবি এডিট" এই কাজের ইনকামই শুধু হারাম।
বাকি কাজ গুলোর ইনকাম হালালই থাকবে।

তাই অধিকাংশ ইনকাম তার হালাল হওয়ায় আপনাকে খাবার কম করতে হবেনা।
আর তার সম্পূর্ণ ইনকাম যদি হারামও হয়,সেক্ষেত্রে আপনি যেহেতু তার স্ত্রী,আপনার ভরনপোষণ যেহেতু তার উপর ওয়াজিন,তাই আপনার নিজের মালিকানায় টাকা না থাকলে স্বামীর ইনকাম হতে প্রয়োজনীয় খরচ ও খাবার গ্রহনে সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...