জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ: ابْنُ حُسَيْنٍ فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে কোনো কথা শোনামাত্রই (যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।
(আবু দাউদ ৪৯৯২)
মুসলিম শরীফে এসেছেঃ
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ "
. وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ ذَلِكَ
. وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله
تعالى عنه بِحَسْبِ الْمَرْءِ مِنَ الْكَذِبِ أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ .
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ لِي مَالِكٌ اعْلَمْ أَنَّهُ لَيْسَ يَسْلَمُ رَجُلٌ حَدَّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ وَلاَ يَكُونُ إِمَامًا أَبَدًا وَهُوَ يُحَدِّثُ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
. حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بِحَسْبِ الْمَرْءِ مِنَ الْكَذِبِ أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ .
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ لاَ يَكُونُ الرَّجُلُ إِمَامًا يُقْتَدَى بِهِ حَتَّى يُمْسِكَ عَنْ بَعْضِ مَا سَمِعَ
উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) ..... হাফস ইবনু আসিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়। মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ)-এর সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ উসমান আন নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায়।
(.../...) আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর (রহঃ) ..... ইবনু ওয়াহব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মালিক (রহঃ) আমাকে বলেছেন, জেনে রাখ, যদি কোন ব্যক্তি যা শোনে তা বলে বেড়ায় তবে সে (মিথ্যা হতে) নিরাপদ নয়। আর যে ব্যক্তি যা শোনে তা বলে বেড়ায় সে কখনো ইমাম হবে না।
(../...) ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায়।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রাযিঃ)-কে (যিনি হাদীসের একজন বড় ইমাম) বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তি অনুসরণযোগ্য ইমাম হতে পারবে না, যে পর্যন্ত সে শোনা কথা কতক (মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা) বর্ণনা করা থেকে বিরত না থাকবে।
(মুসলিম শরীফ হাদীস নং ০৫)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো ফিকহি বিষয় হলে মুহাক্কিক আলেম থেকে শুনে থাকলে সেটি সেই আলামের বক্তব্য বলে প্রচার করা যাবে।
যদি কোনো ঘটনা বা আলোচনা বক্তা থেকে শোনা যায়,তাহলে তার তাহকিক করা জরুরি।
,
যদি এমন হয় যে আসলে এমন কিছু ঘটেইনি,তাহলে তাহা বলে বেড়ানো এই হাদীসের আওতায় পড়ে যাবে।
কিছু সময় এমন হয় যে বক্তা আসলেই তেমন কিছু বলেনি,বা বলেছিলো অন্য কিছু,কিন্তু তার নামে প্রভার হচ্ছে অন্য কিছু,বা বক্তার কথা কাটছাট করে প্রচার করা হচ্ছে,এসবই মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত হবে।