আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

পরিবারে যিনি আয় করেন তার ইনকাম সোর্স যদি হারাম হয়,অর্থাৎ সে খারাপভাবে টাকা উপার্জন করে তা পরিবারের কেউ জানে না। পরিবারের মানুষ ভাবে হালালভাবে টাকা উপার্জন করছে, কিন্তু মূলত টাকা হারাম ভাবে উপার্জন করা হচ্ছে। পরিবারের মানুষ সত্যটা জানতে পারে এবং যিনি উপার্জন করতেন তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি মিথ্যা বলেন যে, এগুলো মিথ্যা আমি হালাল ভাবেই উপার্জন করি।

পরিবারের মানুষ আগে না বুঝে, না জেনে ওই হারাম টাকার দিয়ে চলেছে, খেয়েছে, কেনাকাটা করেছে তাহলে তারা যা যা করেছে সব হারাম টাকা দিয়ে। এতে কি পরিবারের মানুষেরও গুনাহ হবে? পরিবারের মানুষের আগে না জেনে হারাম টাকা ব্যবহার করেছে সেজন্য এখন তাদের কি করা উচিত? এরজন্য কোনো কাফফারা বা কিছু করতে হবে?
by
আমার প্রশ্নের উত্তরটা দেওয়া হয়নি। যদি উত্তরটা দিতেন খুব উপকার হতো।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


যদি স্বামী প্রয়োজনীয় ভরণ পোষণ আদায় না করে, তাহলে স্বামীকে না জানিয়ে তার কাছে থেকে প্রয়োজনীয় খরচ নেয়া জায়েজ আছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَتْ هِنْدٌ بِنْتُ عُتْبَةَ امْرَأَةُ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، لَا يُعْطِينِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يَكْفِينِي وَيَكْفِي بَنِيَّ إِلَّا مَا أَخَذْتُ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، فَهَلْ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ مِنْ جُنَاحٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ وَيَكْفِي بَنِيكِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হিন্দা বিনত উতবা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচাদি প্রদান করেন না। তবে আমি তার অজ্ঞাতেই তার সম্পদ থেকে প্রয়োজনীয় খরচাদি গ্রহণ করে থাকি। এতে কি আমার কোন দোষ (পাপ) হবে? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার সম্পদ থেকে তোমার ও তোমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হয় এমন সঙ্গত পরিমাণ নিতে পার। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৪, ইফাবা-৪৩২৮]

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: قَالَتْ هِنْدٌ أُمُّ مُعَاوِيَةَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ أَنْ آخُذَ مِنْ مَالِهِ سِرًّا؟ قَالَ: «خُذِي أَنْتِ وَبَنُوكِ مَا يَكْفِيكِ بِالْمَعْرُوفِ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুআবিয়া (রাঃ) এর মা হিন্দ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) একজন কৃপন ব্যাক্তি। এমতাবস্থায় আমি যদি তার মাল থেকে গোপনে কিছু গ্রহন করি, তাতে কি আমার গুনাহ হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজনানুসারে যথাযথভাবে গ্রহন করতে পার। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২২১১,ইফাবা-২০৬৯]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত পরিবারের নাবালেগ ছেলে সন্তান ও অবিবাহিতা মেয়ে সন্তানদের সমস্যা নেই।
তারা প্রয়োজন মাফিক সেই টাকা খরচ করতে পারবে।
তবে প্রয়োজন অতিরিক্ত খরচ করবেনা।
তাদের উপর কোনো কাফফারাও নেই।
,
এক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য মাসয়ালাঃ
স্বামীর উপার্জন ছাড়া নিজস্ব হালাল সম্পদ দিয়ে চলা যদি স্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে স্বামীর হারাম টাকা নেয়া বৈধ হবে না।

আর যদি স্ত্রীর আলাদা কোন উপার্জন না থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় অর্থ নেয়া জায়েজ হবে। সেই সাথে স্বামীকে সর্বদা হারাম ছেড়ে দিয়ে হালাল উপার্জন করতে তাকিদ দিতে থাকবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...