হযরত ইবনে ওমর রাঃ বর্ণনা করেন, এক সময় জনৈক ব্যক্তি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমীপে আরয করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুনিয়া আমাকে পরিত্যাগ করেছে এবং আমি রিক্ত হস্তে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমার পরিত্রানের কোন উপায়া আছে কি? তদুত্তরে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কোথায় আছ? (ইহলোকে না পরলোকে) সালাতে মালায়েকা (ফেরেশতাগণের দুআ) এবং তাসবীহে খালায়েক যার বদৌলতে ফেরেশতাগণকে রিজিক প্রদান করা হয় তা তোমার কাছে থেকে কোথায় গেল? যে দুআ ও প্রার্থনার বরকতে ফেরেশতাকুল এবং মানব জাতি স্ব স্ব জীবিকা প্রাপ্ত হয়ে থাকে তা কি তুমি জান না? সে ব্যক্তি আরয করলঃ সেই দুআ কি? তিনি বলেলনঃ
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم وبحمده استغفر الله
এই দুআ প্রত্যতহ ফজরের নামাযের পূর্বে কিংবা পরে একশত বার করে পড়তে আরম্ভ কর। সংসার, দুনিয়া আপনা আপনি তোমার দিকে ফিরবে অর্থাৎ দুনিয়া তোমাকে হেয় ও লাঞ্ছিত অবস্থায় ধরা দিবে এবং এতদ্ভিন্ন আল্লাহ তাআলা এর এক একটি শব্দ হতে এক একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করে কিয়ামত দিব স পর্যন্ত তাসবীহ পাঠে নিযুক্ত করে দিবেন উহার সমুদয় সওয়াব তুমি পাবে। [ছিলাহুল মু’মিন-৬১-৬২]
এই হাদীসের হুকুম সম্পর্কে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেনঃ-
ইবনে হিব্বান রহঃ বলেনঃ এটি জাল বর্ণনা। [আলমাজরূহীন-১/১৪৮]
ইবনে আদী রহঃ বলেন, এটির সনদ বাতিল। [আলকামিল ফিজযুআফা-১/৫৫৮]
ইমাম যাহাবী বলেন, এর সনদে ইসহাক রয়েছে তিনি মারাত্মক পর্যায়ের মুনকারুল হাদীস। [তারতীবুল মাওযূআত-২৭৬]
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)
মুহাদ্দিসীনে কেরামের উপরোক্ত মন্তব্য থেকে আমাদের কাছে পরিস্কার যে, উপরোক্ত বর্ণনাটি জাল ও বানোয়াট। সুতরাং এটিকে হাদীস বিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই।
★সুতরাং বলা যায় যে প্রশ্নে উল্লেখিত কিতাবে জাল বর্ণনা রয়েছে।
এই গ্রন্থ না পড়াই উচিত হবে।
এই গ্রন্থ পড়ে তাহকীক ও অনুসন্ধান না করে ঢালাও ভাবে আমল করার সুযোগ নেই।
★খিজির আঃ এর নামাজ বলতে কোনো নির্দিষ্ট নামাজের কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।