এই লিখাটা মানুষকে শেয়ার করব,এইটা বুঝানোর জন্য যে আসলে মেয়েদের দায়িত্ব বেশি কিসে।নিচের লিখাটা কি ঠিক আছে?
একজন হাশাপে মেসেজ দিয়েছেন, আমি যেন ঐসব বোনদের সতর্ক করি ও নসিহত করি যারা দ্বীনি ইলম অর্জনের নামে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন এবং এজন্য সংসার, স্বামী, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করছেন।
তিনি দুইটা ঘটনা লিখেছেন, যেখানে একজনের স্বামী এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করায় স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চান। আরেকজন নাকি বলছে, তার "দ্বীনি" বোনদের নিয়ে তার স্বামী কোন মন্তব্য করলে সে ডিভোর্স দিবে। আল্লাহই জানেন এসব সত্য কিনা। তবে এটুকু বোঝা যায়, কিছু "দ্বীনি" বোনের এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি চলছে।
প্রথমত, আমার মতে একজন মুসলিমার সফলতা, দক্ষতা, মর্যাদার প্রথম ও প্রধান মাপকাঠি হলো সংসারে তার অবদান।
মুসলিম সমাজে পরিবার অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলিমেন্ট আর সেই পরিবারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থাকেন একজন স্ত্রী, মা। যখন তিনি এই পদের দায়িত্ব ঠিকমত আঞ্জাম দেন, তখন সেই পরিবার বাহ্যিক ফিতনা থেকে নিরাপদ থেকে নিজেদের দ্বীন সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং এই পরিবারের সদস্যরা সমাজে দ্বীনের জন্য পজিটিভ কিছু করতে পারে। আর যখন এই দায়িত্ব ঠিকমত আদায় হয় না, তখন এসব পরিবারই ফিতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এখন কেউ কেউ বলতে চাইবে, তাহলে হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে কী বলবেন? প্রথমত, আল্লাহ তায়ালা উনাকে এক বিরাট কাজের জন্য নিজ থেকে বাছাই করেছেন। দ্বিতীয়ত, উনার তরফ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন সন্তান ছিল না। আর সর্বশেষ হলো, ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। আমভাবে, নারীর জন্য সবচেয়ে মর্যাদার কাজই তার সংসার।
সুতরাং, কেউ যদি এই কাজকে গৌণ মনে করে এবং ফরজে কিফায়া ইলম অর্জনকে প্রায়োরিটি দেয়, যে ইলম তার জন্য অর্জন আবশ্যক নয় (আবশ্যক পরিমাণ ইলম শিখতে এক/দুইটি কিতাবই যথেষ্ট), বুঝতে হবে সে ফিতনায় পতিত হয়েছে এবং তার নিয়ত যেমনই হোক, আল্লাহর সন্তুষ্টি এভাবে আসবে না।
আর ভাইদের বলবো, আপনি যদি বিবাহচ্ছুক হোন তবে বেসিক দ্বীনি ইলম তথা মাসয়ালা/মাসায়েল জানে কিনা, ফরজ/ওয়াজিবে আন্তরিক কিনা এসব দেখার পর খোঁজ নিন সংসারের কাজকে তিনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন। যদি দেখেন, এটি তার টপমোস্ট প্রায়োরিটি তবে এগিয়ে যান। আর যদি দেখেন এটা তার প্রায়োরিটি লিস্টের নিচের দিকে আছে আর (যে নিয়তেই হোক), তার উপর আবশ্যক নয় এমন ইলম অর্জন করা উপরের দিকে আছে তবে এড়িয়ে যান। হ্যাঁ, যদি আপনি দুই/তিনজন খাদেমা রাখতে সক্ষম হন, নিজের বাচ্চাকাচ্চাকে খাদেমা দিয়ে পালন করিয়ে নিতে স্বচ্ছন্দ থাকেন এবং আপনার একজন জ্ঞানী স্ত্রী দরকার হয় যিনি সময়ে সময়ে আপনাকে শেখাবেন, তাহলে এগিয়ে যেতে পারেন।
-কপি করা।।একজন দ্বীনি ভাই লিখেছেন