আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
299 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
এই লিখাটা মানুষকে শেয়ার করব,এইটা বুঝানোর জন্য যে আসলে মেয়েদের দায়িত্ব বেশি কিসে।নিচের লিখাটা কি ঠিক আছে?


একজন হাশাপে মেসেজ দিয়েছেন, আমি যেন ঐসব বোনদের সতর্ক করি ও নসিহত করি যারা দ্বীনি ইলম অর্জনের নামে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন এবং এজন্য সংসার, স্বামী, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করছেন।
তিনি দুইটা ঘটনা লিখেছেন, যেখানে একজনের স্বামী এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করায় স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চান। আরেকজন নাকি বলছে, তার "দ্বীনি" বোনদের নিয়ে তার স্বামী কোন মন্তব্য করলে সে ডিভোর্স দিবে। আল্লাহই জানেন এসব সত্য কিনা। তবে এটুকু বোঝা যায়, কিছু "দ্বীনি" বোনের এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি চলছে।
প্রথমত, আমার মতে একজন মুসলিমার সফলতা, দক্ষতা, মর্যাদার প্রথম ও প্রধান মাপকাঠি হলো সংসারে তার অবদান।
মুসলিম সমাজে পরিবার অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলিমেন্ট আর সেই পরিবারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থাকেন একজন স্ত্রী, মা। যখন তিনি এই পদের দায়িত্ব ঠিকমত আঞ্জাম দেন, তখন সেই পরিবার বাহ্যিক ফিতনা থেকে নিরাপদ থেকে নিজেদের দ্বীন সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং এই পরিবারের সদস্যরা সমাজে দ্বীনের জন্য পজিটিভ কিছু করতে পারে। আর যখন এই দায়িত্ব ঠিকমত আদায় হয় না, তখন এসব পরিবারই ফিতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এখন কেউ কেউ বলতে চাইবে, তাহলে হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে কী বলবেন? প্রথমত, আল্লাহ তায়ালা উনাকে এক বিরাট কাজের জন্য নিজ থেকে বাছাই করেছেন। দ্বিতীয়ত, উনার তরফ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন সন্তান ছিল না। আর সর্বশেষ হলো, ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। আমভাবে, নারীর জন্য সবচেয়ে মর্যাদার কাজই তার সংসার।
সুতরাং, কেউ যদি এই কাজকে গৌণ মনে করে এবং ফরজে কিফায়া ইলম অর্জনকে প্রায়োরিটি দেয়, যে ইলম তার জন্য অর্জন আবশ্যক নয় (আবশ্যক পরিমাণ ইলম শিখতে এক/দুইটি কিতাবই যথেষ্ট), বুঝতে হবে সে ফিতনায় পতিত হয়েছে এবং তার নিয়ত যেমনই হোক, আল্লাহর সন্তুষ্টি এভাবে আসবে না।
আর ভাইদের বলবো, আপনি যদি বিবাহচ্ছুক হোন তবে বেসিক দ্বীনি ইলম তথা মাসয়ালা/মাসায়েল জানে কিনা, ফরজ/ওয়াজিবে আন্তরিক কিনা এসব দেখার পর খোঁজ নিন সংসারের কাজকে তিনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন। যদি দেখেন, এটি তার টপমোস্ট প্রায়োরিটি তবে এগিয়ে যান। আর যদি দেখেন এটা তার প্রায়োরিটি লিস্টের নিচের দিকে আছে আর (যে নিয়তেই হোক), তার উপর আবশ্যক নয় এমন ইলম অর্জন করা উপরের দিকে আছে তবে এড়িয়ে যান। হ্যাঁ, যদি আপনি দুই/তিনজন খাদেমা রাখতে সক্ষম হন, নিজের বাচ্চাকাচ্চাকে খাদেমা দিয়ে পালন করিয়ে নিতে স্বচ্ছন্দ থাকেন এবং আপনার একজন জ্ঞানী স্ত্রী দরকার হয় যিনি সময়ে সময়ে আপনাকে শেখাবেন, তাহলে এগিয়ে যেতে পারেন।
-কপি করা।।একজন দ্বীনি ভাই লিখেছেন

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পবিত্র সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,

إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.

‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪।)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيْ النِّسَاءِ خَيْرٌ؟ قَالَ: «الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَلَا مَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, কোন্ রমণী সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে স্বামী স্ত্রীর প্রতি তাকালে তাকে সন্তুষ্ট করে দেয়, স্বামী কোনো নির্দেশ করলে তা (যথাযথভাবে) পালন করে এবং নিজের প্রয়োজনে ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে না।
হাসান :
(নাসায়ী ৩২৩১, আহমাদ ৭৪২১, ইরওয়া ১৭৮৬, সহীহাহ্ ৮৩৩৮, সহীহ আল জামি‘ ৩২৯৮.মিশকাত ৩২৭২।)

স্ত্রীর উপর স্বামীর হক আদায় সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তাহলে আমি প্রশ্নের নিচে যে একটা কপি করা লিখা দিয়েছি এইটা শেয়ার করতে পারব?
by (574,080 points)
এখানে যদি নফল তথা ফরজ ইলম ব্যাতিত অতিরিক্ত ইলেম নিয়ে মহিলাদের পড়াশোনা উদ্দেশ্য হয়,সেক্ষেত্রে সেটি স্পষ্ট করে লেখাটি শেয়ার করতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...