ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/17530/?show=17530#q17530
নং ফাতাওয়াতে আমরা
বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল
হয় না। বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ
ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে
গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা
নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى
اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি
ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
পেমেন্ট মেথড তথা বিকাশ, রকেট বা ব্যংকের ডেবিট
কার্ড/ক্রেডিট কার্ড অথবা ভিসা/মাস্টার কার্ড ইত্যাদি দ্বারা নির্দিষ্ট শপে ক্রয়ের
উপর যে ১০% বা ২০% ক্যাশব্যাক দেয়া হয়।
তার শরয়ী হুকুম নিম্নরূপ:
যদি ক্রেডিট কার্ড বা শপিং কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করা হয়, যা গ্রাহক পরবর্তীতে
উক্ত ইস্যুকৃত কার্ডের মালিক ব্যাংক বা কম্পানিকে পরিশোধ করবে।তাহলে বুঝা গেল যে ব্যাংক/কম্পানি
উক্ত কার্ডধারীকে বর্তমানে ঋণ দিচ্ছে।তাই ব্যাংক হল ঋণদাতা।এবং ক্রেডিট/শপিং কার্ড
গ্রহণকারী হলেন ঋণগ্রহিতা। ঋণ দাতার পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহিতাকে আরো উপহার উপটোকন দেয়া
যায়।তা জায়েয।অন্যদিকে ঋণগ্রহিতার পক্ষ্য থেকে ঋণদাতাকে কিছু দেয়ার নামই হল সুদ।তাই
এখানে সুদ হচ্ছে না।কেননা এতে সুদের সজ্ঞা প্রমাণিত হচ্ছে না।
আর যদি পেমেন্ট মেথড ডেবিডকার্ড বা বিকাশ/রকেট হয়, তাহলে তো উক্ত গ্রাহকের
একাউন্টে পূর্ব থেকেই টাকা বিদ্যমান রয়েছে। এখন উক্ত পেমেন্ট মেথড গুলো ক্ররিদার গ্রাহককে
কমমূল্যে ক্ররিদ করতে সহযোগিতা করছে।আর সহযোগিতা করা তো জায়েয।জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম
(দারুল এশায়ত); ১/১৬৪
তাছাড়া যদি বিষয়টাকে আমরা অন্যভাবে চিন্তা করি,তাহলে এমন হবে যে,এখানে 'পেমেন্ট মেথড পদ্ধতিসমূহ, বিক্রেতা কম্পানির
সাথে ব্যবসায় শরীক। অবশ্য তাদের সবার প্রফিট চুক্তি আকারে সু-নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত
রয়েছে। এমন হলে বিক্রেতা কম্পানি এবং পেমেন্ট মেথড উভয়-ই এখন বিক্রেতা। আর বিক্রেতার
পক্ষ্য থেকে ক্রেতাকে যা কিছু দান করা হয়, সেটা গ্রহণ করা ক্রেতার জন্য তো জায়েয-ই
হয়। (কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/২৪৯)
এ দৃষ্টিকোণে ক্যাশব্যাক গ্রহণ না জায়েয হওয়ার কোনো কারণ
নেই।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/112
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ক্যাশব্যাক
নেওয়া জায়েজ, তা সুদ নয়।