بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.আপনার জন্য উচিত হবে কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রোফাইলে রাখা। কারণ, যেকোন প্রাণীর ছবি সংরক্ষণ করা বা প্রোফাইল পিকচার হিসেবে রাখা মোটেও উচিত নয়। আর এসব ছবি প্রিন্ট করা জায়েজ নয়। (তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম-৪/১৬৪)
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ
২.
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
*খাওয়াতিন কে লিয়ে জাদিদ মাসাঈল;৬৭
এখানে যেই কথা এসেছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে উচিত হবেনা, উচিত নয়, এমন বাক্য। নাজায়েজ বলা হয়নি।
মহিলা হোস্টেলে যদি পূর্ণ নিরাপত্তা থাকে, সেক্ষেত্রে কোন বাধা নেই (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৮০/২৩)।
সুতরাং প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পর্দা ও শরীয়তের যাবতীয় বিধান মেনে ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলে থেকে (মাহরাম ছাড়া, বান্ধবীদের সাথে) মহিলাদের জন্য দ্বীনী/ দুনিয়াবি শিক্ষা গ্রহণ করা জায়েজ হবে। তাদের ইজ্জত আব্রুর হেফাজতের ক্ষেত্রে যেনো কোনো সমস্যা না হয়। সেদিকে কর্তৃপক্ষ সহ সকলের পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।
তবে ঢাকা মেডিকেলের চেয়ে দিনাজপুর মেডিকেলে যদি দ্বীন মেনে চলা সহজ হয় এবং অত্র জেলাতেই যেহেতু আপনার বাড়ি, বিধায় আপনার উচিত হবে স্থানীয় মেডিকেলে পড়া।