আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
১. কোন মেয়ে কোন ছেলে কে পছন্দ করে ছেলের মামাকে মামা বলে লোকজন এর সামনে ডাকলে বিয়ে জাতীয় কিছু হয়?
২. কোন ছেলে ম্যাসেজের চ্যাটে যদি বলে আমি কিন্তু বিয়ে পড়াতে পারি। আমি দোয়া দূরদ বা সূরা পড়তেসি তুমি কবুল লিখে পাঠাও। মেয়েটা কবুল লিখে পাঠায় এভাবে বিয়ে হয় না। পরবর্তীতে মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ের প্রস্তাব আসলে ছেলেটা বলে ম্যাসেজের কথা। মেয়েটা তার মাকে বললে তার মা এক হুজুর কাছে জিজ্ঞেস করায় সে বলছিল এভাবে বিয়ে হয় না।  পরে মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। পরে একদিন মেয়েটা বিয়ের পর তার ওয়াসওয়াসার সম্যসা হয় সে মাকে জিজ্ঞেস করে ছেলেটা তার মায়ের সামনে কখনো মেয়ে টাকে বৌ বলছিল কি না৷ তখন মেয়েটার মা বলছিল ম্যাসেজের ঘটনায় বলছিল। পরে মেয়েটার মাকে আবার জিজ্ঞেস করলে সে বলে না ছেলেটা কখনো বৌ বলে নাই তার সামনে৷ আর মেয়েটা কখনো ঐ ছেলেকে তার মায়ের সামনে বা অন্য কাাারোর সামনে ম্যাসেন্জারের ঘটনার কারণে বর বা স্বামী বলে নাই। উপরুক্ত ঘটনায় বৌ বললেও বা না বললেও মেয়ের মায়ের এমন কথায় কি এখন মেয়ের বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে? ঐ ভাবে তো বিয়ে হয় না। ( মেয়েটার মা আসলেই কখনো বলে নাই যে ছেলেটা ম্যাসেন্জারের ঐ ঘটনার কারণে তার সামনে মেয়েটাকে বৌ বলছে। মেয়েটার ওয়াসওয়াসা এটা। তারপরও উত্তর দিবেন দয়া করে৷)

(3) শায়েখ একজনের সাথে বিয়ের কথা হইছিল কিন্তু বিয়ে হয় নাই। সেই ছেলে মেয়েটাকে এভাবে বলছে গার্জিয়ানে গার্জিয়ানে কি হইছে সঠিক  তো আমি জানি না। যদি গার্জিয়ান গার্জিয়ান ঠিক হয় তাহলে আমি নিজেই খুলনায় যাবো ( মেয়েটা ওখানে থাকতোো)।  এই কথায় মেয়েটা কি বলছিল মনে নাই । আচ্ছা বা সম্মতি সূচক কিছু বললে ও তো ইজাব কবুল হতো না।  কারণ এটা তো ইজাব কবুলের শব্দ  না। তাই না  শায়েখ ?

(৪)আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
ওয়াসওয়াসার সম্যসা হতো ইজাব কবুলের মাসআলা পড়ার পড়। এখন আমি শিওর কিছুই হয় নাই। এই সম্যসা হতো আমার বিয়ের পর। বিয়ের আগে একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম তাকে নিয়ে। তো আমার আম্মুকে একবার বলছিলাম ঐ ছেলেকে ফোন দিতে সে ফোন দেয় এবং সেও বলে যে কোন ইজাব কবুল হয় নাই।  তার ব্যাক্তিগত একটা নিয়ে আম্মু বলে যে তুমি তাকে তালাক দাও/ তালাক দিছো। কিন্তু আমি ভাবছি ছেলেটা মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিছে হয়তো বিয়ে নিয়ে এই জন্য আমার আমাকে তালাক দিতে বলতিসে। কিন্তু আমার মা পরে বলছে সে আমাকে নিয়ে তালাকের কোন কথা বলে নাই। আমি আবার ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ভীষণ। আমি পরে ঘটনাটা ভুলে যাই এবং শুধু তালাক দাও বা তালাক দিছো এটাই মনে থাকে আমি তখন একজন শায়েখ কে জিজ্ঞেস করি তখন পুরো ঘটনা শুনে বলে বিয়েই হয় নাই তালাক হবে কি করে? আজকে হঠাৎ আমার মনে হচ্ছে এই ঘটনার পরপর আমি আমার স্বামী কে জিজ্ঞেস করছিলাম যে কেউ বিয়ে নিয়ে মিথ্যা বললেই কি বিয়ে হবে?  আমার স্বামী বলছিল বিয়ে হবে না। কিন্তু ঘটনাটা আমি একদম শিওর না। আর মাও বলছে আল্লাহর কসম করে যে আমার ব্যাপারে তালাকের কথা গুলো হয় নাই। প্রশ্ন হলো আমার ব্যাপারে আমার মা বলছে ভেবে আমি আমার স্বামীকে যদি জিজ্ঞেস করেও থাকি যে মিথ্যা স্বীকারোক্তি কেউ বিয়ের ব্যাপারে দিলে বিয়ে হয় কি না এমন প্রশ্নে কি বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে?

(৫)শায়েখ কোন মেয়ের কোন ছেলেকে নিয়ে ওয়াসওয়াসা ওয়াসা ছিল যা ইজাব কবুল এর মাসআলা পড়ে হইছিল। পড়ে ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ হয় সে বলে এমন কিছু হয় নাই। তারপর মেয়েটাও শিওর হয় যে এমন কিছু হয় নাই ২০০% এগুলো ওয়াসওয়াসা। পড়ে কিছু দিন আগে আগে আবার ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ হয় ঐ ছেলে কে জিজ্ঞেস করে আগের প্রশ্নে উত্তরে কি বলছিলি সে বলে কিছু হয় নাই  বলছিলাম । আগের সব তর করা প্রশ্ন গুলো আমার মনে আছে আমি বলছিলাম কিছু হয় নাই। কিন্তু ছেলেটা বলছে যে তুই যখন আমাকে ঐ প্রশ্ন গুলো করছিলি তখন তুই কেন বলছিলি যে তর কিছু সদকা করা লাগবে? ওটা শুনে আমার খুব রাগ হইছিল। আমার মনে হয় আমি এই কথা বলছিলাম কোন ছবি থাকলে ডিলিট করে দে তুই ছবি ডিলিট না করলে আমার সদকা করা লাগবে কিছু। এটাই আমার মনে হচ্ছে।  আবার মনে হচ্ছে এমন কথা কি আমি বলছিলাম যে তর সাথে কোন ইজাব কবুল হইছে কি না বল? তাহলে আমার সদকা করা লাগবে কিছু। ( আমার শিওর মনে হয় এটা বলি নাই তারপর ও উত্তর দিবেন )। ইজাব কবুল তো হয় নাই এটা শিওর। এই সদকা করার  কথায় কি আমার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবে কি? যেখানে ইজাব কবুল হয় নাই সেখানে এমন কথা দ্বারা কিছু হবে কিি?

(৬) ইজাব কবুল হয় নাই।  মেয়েটা ছেলেটাকে বলে নাই তার মাকে বাবাকে আম্মু আব্বু  বলে ডাকতে। ছেলেটা  বিয়ে করলাম নিয়তে বা শ্বশুর শাশুড়ী বানানোর নিয়তে মেয়েটার বাবা মাকে আম্মু আব্বু বলে ডাকে লোকজন থাকলে শুনলে ও তো এখানে বিয়ে হতো না। এভাবে তো কিছু হয় নাই। তাই না শায়েখ?? মেয়েটা কখনো ছেলেটার বাবা মাকে আম্মু আব্বু বলে ডাকে নাই। মেয়েটা ডাকতে বলে নাই এমনকি মেয়েটা তার মাকে বাবাকে আব্বু আম্মু ডাকতে মানা করতো

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোন মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করে ছেলের মামাকে মামা বলে লোকজন এর সামনে ডাকলে, বিয়ে জাতীয় কিছু হবে না।

(২)কোন ছেলে ম্যাসেজের চ্যাটে যদি বলে আমি কিন্তু বিয়ে পড়াতে পারি। আমি দোয়া দূরদ বা সূরা পড়তেসি তুমি কবুল লিখে পাঠাও। মেয়েটা কবুল লিখে পাঠায়। এভাবে বিয়ে হয় না। এ নিয়ে টেনশনের কিছু নাই।

(৩) শায়েখ একজনের সাথে বিয়ের কথা হইছিল কিন্তু বিয়ে হয় নাই। সেই ছেলে মেয়েটাকে এভাবে বলছে গার্জিয়ানে গার্জিয়ানে কি হইছে সঠিক  তো আমি জানি না। যদি গার্জিয়ান গার্জিয়ান ঠিক হয় তাহলে আমি নিজেই খুলনায় যাবো 

এই শব্দ দ্বারা বিয়ে হবে না।কেননা বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইজাব কবুল শর্ত।

(৪)আপনার বর্ণনা পড়েছি, আপনার বর্ণনা মুতাবেক বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে না।

(৫)
আপনার বর্ণনা পড়েছি, আপনার বর্ণনা মুতাবেক বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা হবে না।

(৬) ইজাব কবুল হয় নাই।  মেয়েটা ছেলেটাকে বলে নাই তার মাকে বাবাকে আম্মু আব্বু  বলে ডাকতে। ছেলেটা  বিয়ে করলাম নিয়তে বা শ্বশুর শাশুড়ী বানানোর নিয়তে মেয়েটার বাবা মাকে আম্মু আব্বু বলে ডাকে লোকজন থাকলে শুনলে বিয়ে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...