বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
কুরআন পড়ে এবং সূরা
নাস ও ফালাক (অর্থাৎ মু‘আব্বিযাত) পড়ে গায়ে ফুঁক দেয়া।
عَنْ
عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
كَانَ يَنْفُثُ عَلَى نَفْسِهِ فِي الْمَرَضِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ
بِالْمُعَوِّذَاتِ، فَلَمَّا ثَقُلَ كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِهِنَّ، وَأَمْسَحُ
بِيَدِ نَفْسِهِ لِبَرَكَتِهَا. فَسَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ كَيْفَ يَنْفِثُ قَالَ
كَانَ يَنْفِثُ عَلَى يَدَيْهِ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ.
ইবরাহীম ইবনু মূসা
(রাঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে রোগে ওফাত পান সেই
রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে ‘মু‘আব্বিযাত’ পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে
গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে
ফুঁক দিতাম। আর আমি তাঁর নিজের হাত তাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাঁর হাতে বারাকাত ছিল। রাবী বলেনঃ আমি যুহরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেনঃ তিনি তাঁর দু’হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই দু’হাত দিয়ে আপন মুখমণ্ডল বুলিয়ে নিতেন। (সহীহ
বুখারী, হাদীস নং-৫৭৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১১) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি দুআ-দরুদ,
সূরা নাস, ফালাক, ইখলাছ, সূরা ইয়াছিন ইত্যাদি পড়ে আপনার মায়ের হাতে ফুঁক দিয়ে দিবেন।
অত:পর আপনার মা ঐ হাত পুরো শরীরের বুলিয়ে নিবেন অথবা আপনি বুলিয়ে দিবেন। তাহলে আশা
করা যায় আল্লাহ তায়ালা চাইলে এতে আরোগ্য লাভ হবে ইনশাআল্লাহ।
২. দুআ করি আল্লাহ তায়ালা আপনার মাকে
খুব দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থতার নিয়ামত দান করেন।