আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
(আমার পরিচিত একজন জিজ্ঞেস করেছে)


কাশির কারণে নামায আদায় করাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। নামাযে সূরা কিরাত তিলাওয়াত করতে গেলে কাশির জন্য লালা এসে মুখ বন্ধ হয়ে যায়,, আমি প্রতিবারই অযু করে আসি যে নামায টা পড়বো,কিন্তু কাশির জন্য পড়তে পারতেছি না।


এমতাবস্থায় কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/18192/?show=18192#q18192  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান মতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। অপ্রয়োজনে কাশি দেওয়ার দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/৬১৮, মারাকিল ফালাহ ১/১২১, আল বাহরুর রায়েক ২/৫)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/5636/

আল্লাহ তাআলা বলেন-

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ . الَّذِينَ هُمْ فِي صَلاتِهِمْ خَاشِعُونَ

‘সেসব মুমিনরা সফলকাম, যারা তাদের নামাজে বিনয়াবনত থাকে।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১-২]

তবে ওযরবশত এমনটি হলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ سُفْيَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُسَيَّبِ الْعَابِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ صَلَّى لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِينَ حَتَّى جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى وَهَارُونَ أَوْ ذِكْرُ عِيسَى - مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ يَشُكُّ أَوِ اخْتَلَفُوا عَلَيْهِ - أَخَذَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَعْلَةٌ فَرَكَعَ

হারূন ইবনু আবদুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি' (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে মক্কায় ভোরের (ফজরের) সালাত আদায় করলেন। তিনি সূরাহ আল মু'মিনূন পড়া শুরু করলেন। তিনি তা পড়তে পড়তে মূসা ও হারূন (আঃ) অথবা ঈসা (আঃ)-এর আলোচনা সম্পর্কিত আয়াতে পৌছে গেলেন। (এ ব্যাপারে মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ সন্দেহে পড়ে গেছেন অথবা রাবীদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে)। এ সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাশি আসলে তিনি রুকূ’তে চলে গেলেন। (মুসলিম শরীফ ৯০৯,  (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯১৬)

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُهُ تَنَخَّعَ فَدَلَكَهَا بِنَعْلِهِ .

উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু শিখখীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। আমি দেখলাম তিনি কাশি ফেলে তা জুতা দিয়ে ঘষে (মাটির সাথে মিশিয়ে) দিলেন। (মুসলিম শরীফ ১১২১,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১১৪, ইসলামীক সেন্টার ১১২৩)

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " التَّثَاؤُبُ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ " .

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নামাযের মধ্যে হাই তোলা শাইতানের তরফ হতে হয়ে থাকে। তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তা ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সহীহ। (তিরমিজি ৩৭০, মুসলিম)

আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ)’র হাদীসটি হাসান সহীহ। আলিমদের একটি দল নামাযের মধ্যে হাই তোলা মাকরূহ মনে করেন। ইবরাহীম নাখঈ বলেন, আমি কাশি দিয়ে হাই তোলা নিবারণ করি।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

নামাজে কাশি আসলে বা গলা আটকে যাওয়ার মতো হলে কাশিকে ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কাশি দেওয়া কোনো সমস্যাকর নয়। গলা পরিস্কার করাও যদি খুবই প্রয়োজনীয় হয়, নতুবা গলা আটকে যাওয়ার মতো হয়ে যায়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে গলা পরিস্কার করতে কোনো সমস্যা নেই। আর যদি কাশি এত বেশী হয় যে আপনি নামাজ ছেড়ে দেন তাহলে পুনরায় অজু করার প্রয়োজন নেই। বরং নতুন করে নামাজ শুরু করলেই নামাজ সহিহ হবে ইনশাল্লাহ। কাশির কারণে অজু ভেঙ্গে যায় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...