আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।

মুহতারাম, রোগাক্রান্ত হয়ে কয়েক মাস যাবৎ বসে নামাজ পড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিয়াম করার সক্ষমতা হওয়ার পর যথাসম্ভব কিয়াম করার চেষ্টা করি। রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠা, বৈঠকে যাওয়া ও বৈঠক থেকে ওঠার সময় খুবই কষ্ট হয়। তাই কিয়াম শেষে সরাসরি বসে রুকু করি। এভাবে সালাত হয়ে যাবে নাকি পুনরায় দোহরাতে হবে?

মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছি যে টেবিলজাতীয় বস্তুর ওপর সিজদাহ করা যাবে না। যথাসম্ভব ঝুঁকতে হবে। আমার প্রশ্ন হলো, যখন সিজদাহর নিয়তে ঝুঁকব, হাত মেঝেতে রাখব নাকি হাঁটুর ওপরে? মেঝেতে রাখলে হাতে ভর দেওয়া যাবে? কারণ ভর দেওয়া ছাড়া ঝুঁকে থাকাটা আমার জন্য এত কষ্টকর যে তাসবিহগুলোও খেয়াল রাখা হয় না, থাক তো সিজদায় দুআ করা।

মাখরাজ ভুল হলে আয়াত পুনরায় না পড়ে শুধু শব্দটা আবার পড়লে (মাগফিরতাম মিন ‘ঈনদিকা এখানে মিন শব্দে গুন্নাহ বাদ দিতে) সালাত কাযা করতে হবে?

অসুস্থ হবার পর থেকে অনেক সালাত কাযা হয়ে গিয়েছে। অবস্থা এমন, যে কোনোরকম ফরজ আদায় করে শুয়ে পড়তে হয়। এভাবে কাযা করা আমার জন্য খুবই কঠিন, আর রোগমুক্তির চেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। এমতাবস্থায় আমি কি কোনো কাফফারা দিতে পারব?

কাযা রোযার ফিদইয়া কি জীবদ্দশায় আদায় করা যায়?

মৃত্যুর আগে এই অবস্থায় আমি কী কী আমল করতে পারি? উল্লেখ্য, আমার বয়স এখনো ২২ হয়নি। জীবনে কী রেখে যাচ্ছি ভাবলে পরকাল নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ি।

জাযাকুমুল্লহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (697,760 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10313

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মাঠিতে তাশাহুদের সূরতে বসেই নামায পড়বেন। সিজদা করার সময়ে রুকু থেকে একটু বেশীই ঝুকবেন। হাত হাটুতে রাখবেন।

(২)
মাখরাজ ভুল হলে আয়াত পুনরায় না পড়ে শুধু শব্দটা আবার পড়লে (মাগফিরতাম মিন ‘ঈনদিকা এখানে মিন শব্দে গুন্নাহ বাদ দিতে) সালাত হয়ে যাবে।

(৩) যদি শরীর বেশ ক্লান্ত মনে হয়, তাহলে চেয়ারে বসে বা মাঠিতে বসে কিংবা ইশারায় নামায পড়ে নিবেন।

কাযা রোযার ফিদইয়া জীবদ্দশায় আদায় করা যাবে।তবে নামাযের ফিদয়া জীবদ্দশায় আদায় করা যাবে না।
"(قوله: ولو فدى عن صلاته في مرضه لا يصح)، في التتارخانية عن التتمة: سئل الحسن بن علي عن الفدية عن الصلاة في مرضالموت هل تجوز؟ فقال لا.  وسئل أبو يوسف عن الشيخ الفاني:  هل تجب عليه الفدية عن الصلوات كما تجب عليه عن الصوم وهو حي؟ فقال لا. اهـ. وفي القنية: ولا فدية في الصلاة حالة الحياة بخلاف الصوم. اهـ.
أقول: ووجه ذلك أن النص إنما ورد في الشيخ الفاني أنه يفطر ويفدي في حياته، حتى إن المريض أو المسافر إذا أفطر يلزمه القضاء إذا أدرك أياما أخر، وإلا فلا شيء عليه، فإن أدرك ولم يصم يلزمه الوصية بالفدية عما قدر، هذا ما قالوه، ومقتضاه: أن غير الشيخ الفاني ليس له أن يفدي عن صومه في حياته لعدم النص، ومثله الصلاة. ولعل وجهه أنه مطالب بالقضاء إذا قدر، ولا فدية عليه إلا بتحقيق العجز عنه بالموت فيوصي بها، بخلاف الشيخ الفاني؛ فإنه تحقق عجزه قبل الموت عن أداء الصوم وقضائه فيفدي في حياته، ولا يتحقق عجزه عن الصلاة؛ لأنه يصلي بما قدر ولو موميا برأسه".
(حاشية ابن عابدين على الدر المختار: كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت (2/ 74)، ط. سعيد)

মৃত্যুর আগে এই অবস্থায় আপনি যথাসম্ভব ইবাদত করবেন।নামায রোযা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (697,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...