আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।
মুহতারাম, রোগাক্রান্ত হয়ে কয়েক মাস যাবৎ বসে নামাজ পড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিয়াম করার সক্ষমতা হওয়ার পর যথাসম্ভব কিয়াম করার চেষ্টা করি। রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠা, বৈঠকে যাওয়া ও বৈঠক থেকে ওঠার সময় খুবই কষ্ট হয়। তাই কিয়াম শেষে সরাসরি বসে রুকু করি। এভাবে সালাত হয়ে যাবে নাকি পুনরায় দোহরাতে হবে?
মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছি যে টেবিলজাতীয় বস্তুর ওপর সিজদাহ করা যাবে না। যথাসম্ভব ঝুঁকতে হবে। আমার প্রশ্ন হলো, যখন সিজদাহর নিয়তে ঝুঁকব, হাত মেঝেতে রাখব নাকি হাঁটুর ওপরে? মেঝেতে রাখলে হাতে ভর দেওয়া যাবে? কারণ ভর দেওয়া ছাড়া ঝুঁকে থাকাটা আমার জন্য এত কষ্টকর যে তাসবিহগুলোও খেয়াল রাখা হয় না, থাক তো সিজদায় দুআ করা।
মাখরাজ ভুল হলে আয়াত পুনরায় না পড়ে শুধু শব্দটা আবার পড়লে (মাগফিরতাম মিন ‘ঈনদিকা এখানে মিন শব্দে গুন্নাহ বাদ দিতে) সালাত কাযা করতে হবে?
অসুস্থ হবার পর থেকে অনেক সালাত কাযা হয়ে গিয়েছে। অবস্থা এমন, যে কোনোরকম ফরজ আদায় করে শুয়ে পড়তে হয়। এভাবে কাযা করা আমার জন্য খুবই কঠিন, আর রোগমুক্তির চেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। এমতাবস্থায় আমি কি কোনো কাফফারা দিতে পারব?
কাযা রোযার ফিদইয়া কি জীবদ্দশায় আদায় করা যায়?
মৃত্যুর আগে এই অবস্থায় আমি কী কী আমল করতে পারি? উল্লেখ্য, আমার বয়স এখনো ২২ হয়নি। জীবনে কী রেখে যাচ্ছি ভাবলে পরকাল নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ি।
জাযাকুমুল্লহু খইর।