আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
(১) একবার আমার স্বামীর সাথে আমার ঝগড়া হয়। আমি আমার মাকে ফোন করে বলি আমি যদি চলে আসি তাহলে কি করবা। আম্মু বলে হ্যা চলে আসো তোমাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবো। আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার দেয় নাই।  আমার এমন কথায় কোন কি কোন তালাক হবে? আমার কোন তালাক সংক্রান্ত কথায় কি কোন তালাক হবে?

(২) আমার স্বামী তালাক সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা একজন আলেম কে করেন। আমি একটা ঘটনা অন্য আলেম কে জিজ্ঞেস করি করি কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। তবে আমি মনের থেকে আমার স্বামী যেই আলেম কে জিজ্ঞেস করেন তার কথাই মেনে নিছি। তিনি বলেছেন আমার সংসারে কোন সম্যসা নাই। কিন্তু তারপরও অন্য আলেম কে এমন প্রশ্ন করার দ্বারা কি কিছু হবে?
(৩) শায়েখ বিয়ের পর কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আমার মনে হয় আমার আম্মুকে এমন বলছি ওকে ( আমার স্বামী কে) কি ডিভোর্স দিয়ে দিবো বা ডিভোর্স দিবো এমন কিছু।  তখন আমি জানতাম না আমার কাবিন নামায় কি লেখা কারণ কাজী খালি কাবিনে সিগনেচার নেয়। পরে জানতে পারি তালাকে অধিকার সম্পর্কে। তারপর একজন শায়েখ বললেন কাজী দিলে স্বামী সিগনেচার করলে নাকি তালাকের অধিকার পায় আমি শুনে অনেক ভয় পাই। কিন্তু আমার স্বামী শায়েখকের কথা  মেনে নেননি। কারণ কাজী পড়ে শোনায়নি খালি কাগজে সিগনেচার নেয়। আমার স্বামীর কাছ থেকেও কাজী অনুমতি নেয় নি। প্রথমে আমার স্বামী বলছে সে আগেও একটা বিয়ে করছে এই বিষয়ে জানলেও কাজী অনুমতি নেয় নি আর সে তালাকের অধিকার দেয়ার কোন নিয়ত করে নাই দেয় ও নাই। পরে সে এক বিয়েতে গিয়ে কাবিন নামা দেখে এসে আমাকে বলছে সে কাবিন নামায় এমন অধিকারের ব্যাপারে জানতোই না। হয়তো আমি তখন তাকে এ বিষয়ে বুঝাতে পারি নাই তখন। পরে আরেকজন শায়েখ সব শুনে বললেন আমি কোন তালাকের অধিকার পাবো না। আমার প্রশ্ন হলো আমি অতীতে ডিভোর্স দিবো বা নিবো বা দিলাম বা নিলাম যাই বলে থাকি না কেন আমার মাকে এতে কি তালাক হবে? ( আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত আমার মনে হয় আমি বলছিলাম আমি কি ওকে তালাক দিবো এমন কথা। তারপর ও উত্তর দিবেন দয়া করে।

(৪) আমার স্বামীর সাথে আমার এক ননদের বিয়েতে যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি প্রথমে তাকে বলছি আমি বিয়ে তে যাবো না। পরে বলছি কেউ যদি কিছু মনে করে তাহলে বিয়ে তে যাবো এই কথায় সে হ্যা বা সম্মতি সূচক কিছু বলে নি মনে হয়। হ্যা বা হু বা সম্মতি সূচক কিছু বললে কি সংসারে কোন সম্যসা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার এমন কথায় কোন তালাক হবেনা।

আপনার কোন তালাক সংক্রান্ত কথায় কোন তালাক হবেনা।

(০২)
তারপরও অন্য আলেম কে এমন প্রশ্ন করার দ্বারা কিছু হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার মাকে অতীতে ডিভোর্স দিবো বা নিবো বা দিলাম বা নিলাম যাই বলে থাকেননা না কেন, এতে তালাক হবেনা।

কেননা আপনি স্বামী হতে তালাকের অধিকারই পাননি।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হ্যা বা হু বা সম্মতি সূচক কিছু বললে সংসারে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...