আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শায়েখ,

একটু ভালো করে পড়ে যদি আমাকে উত্তরটা দিতেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।

১। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার জন্য বা অন্য কাউর ভয়ে গুনাহ না করা এটা কি ইমান নষ্টের কারণ ?

২।কেউ যদি রাসুল সঃ এর তরিকায় পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করে আল্লাহকে খুশি করার জন্য কিন্তু হাঠাৎ করে অন্য কাউকে খুশি করার জন্য পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করল তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

৩।কিছু বৈধ কাজ যেমন স্ত্রী সহবাস,খাবার খাওয়া, মেসওয়াক করা মুখ ধোয়া এগুলো যদি কেউ রাসুল সঃ এর তরিকায় করে কিন্তু আল্লাহকে সন্তষ্টি করার জন্য না তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

৪।কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে পানি অপচয় না করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

৫।সগিরা গুনাহ করা হারাম তবে গুনাহর দিক দিয়ে সগিরা গুনাহ এই আকিদা কি সঠিক?

৬।কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার জন্য জুতা, প্যান্ট, জামা কাপড় পড়ে বা কিনে বা দুনিয়াবি লেখা পড়া করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

৭।মৃত ব্যাক্তিকে খুশি করার জন্য যদি বাতি জালায় তাহলে কি ইমান চলে যাবে তবে তার বিশ্বাস মৃত ব্যক্তি কিছু শুনতে পান না বা কিছু করতেও পারে না?

৮।কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া রাসুল সঃ খুশি করার জন্য রাসুল সঃ এর অনুসরণ করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

৯।কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে কিন্তু আল্লাহকে খুশি করার জন্য না তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

১০।কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার জন্য রাসুল সঃ এর অনুসরণ করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

১১।কেউ যদি ভালো কাজ করে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য জন্য তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

১২।কেউ যদি পুরো পুরি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার জন্য দীনের গেন অর্জন করার চেষ্টা করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

১৩।কেউ যদি কাউকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ভালো বাসে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?

১৪। জেনে বুঝে যদি কেউ কাউকে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে সাহায্য করে বা অন্যকে খুশি করার জন্য সাহায্য করে তাহলে কি শিরক হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?

১৫।কেউ যদি জেনে বুঝে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে বা অন্য কাউকে দেখানোর জন্য বা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য মেসওয়াক করে তাহলে কি শিরক হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?

১৬।এগুলো না জানার কারনে এবং এত বিভ্রান্তি থাকার কারনে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।

বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

★যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এটা ইমান নষ্টের কারণ নয়।

(০২)
তাহলে তার ইমান চলে যাবেনা।

(০৩)
তাহলে তার ইমান চলে যাবেনা।

(০৪)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(০৫)
এই আকীদা ঠিক নয়।
সগীরা গুনাহ হারাম নয়।

(০৬)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(০৭)
এতে তার ঈমান চলে না গেলেও ইহা ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
তাই তাকে তওবা করে ফিরে আসতে হবে।

(০৮)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৯)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(১০)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(১১)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(১২)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(১৩)
না,এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(১৪)
তাহলে শিরক হবেনা।
তার ঈমান নষ্ট হবেনা।

(১৫)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকায় সে ছওয়াব পাবেনা।

(১৬)
এগুলো না জানার কারনে এবং এত বিভ্রান্তি থাকার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...