ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহর নিকটে বিনয়ের সাথে দোয়া করতে হবে। প্রয়োজনে “সালাতুল হাজত” পড়ে দোয়া করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পূরনের জন্য আললাহ’র উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করাকে “সালাতুল হাজত” বলা হয়। (ইবনু মাজাহ ১৩৮৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হুযায়ফা রাযি. বলেন,
كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى
‘রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন নামাজে রত হতেন’। (আবু দাউদ ১৩১৯)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن عبد الله بن أبي أوفى، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كانت له إلى الله حاجة، أو إلى أحد من بني آدم فليتوضأ وليحسن الوضوء، ثم ليصل ركعتين، ثم ليثن على الله، وليصل على النبي صلى الله عليه وسلم، ثم ليقل: لا إله إلا الله الحليم الكريم، سبحان الله رب العرش العظيم، الحمد لله رب العالمين، أسألك موجبات رحمتك، وعزائم مغفرتك، والغنيمة من كل بر، والسلامة من كل إثم، لا تدع لي ذنبا إلا غفرته، ولا هما إلا فرجته، ولا حاجة هي لك رضا إلا قضيتها يا أرحم الراحمين
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তির আল্লাহর নিকট কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে, বা কোনো মানুষ সম্পর্কিত কোনো প্রয়োজন দেখা দিবে,সে যেন উত্তম রূপে অজু করে,অতঃপর দু' রাকাত নামায পড়ে।নামাযের পর আল্লাহ তা'আলার হামদ ও ছানা এবং নবী সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ পূর্বক নিম্নোক্ত দু'আকে যেন সে পড়ে নেয়।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الحَلِيمُ الكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ العَرْشِ العَظِيمِ، الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ، أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ، وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ، وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.
(সুনানু তিরমিযি-৪৭৯)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে ছলাতুল হাজত নামাজ পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আপনি ভালো রেজাল্টের নিয়তে দুই রাকাত ছলাতুল হাজত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে ভালো ফলাফল লাভের দোয়া করবেন।