শরীয়তের বিধান মতে সুদ হারাম।
চাই ব্যাংকের মাধ্যমে সুদ গ্রহণ করা হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে সুদকে গ্রহণ করা হোক।সবই হারাম ও নাজায়েয।
সুদ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻻَ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰَ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।
তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত!
অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।
অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল।
আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাকারা-২৭৫)
বিকাশ যেহেতু টাকা আদান প্রদানের কাজ করে থাকে, এবং এটাই বিকাশের মূখ্য উদ্দেশ্য।হয়তো তাতে সুদের কিছু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।তবে তা নিতান্তই কম।সুতরাং বিকাশ একাউন্ট খোলা জায়েজ আছে, অনুমোদন রয়েছে।
আরো জানুনঃ
বিকাশ রকেট যদিও সুদ ভিত্তিক ব্যাংকের সাথে সরাসরি জড়িত,তারপরেও এখানে সরাসরি টাকা পাঠানোর পর টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো প্রকারের সূদের সম্ভাবনা দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞদের দাবী,তাই বিকাশ রকেট এর মাধ্যমে লেনদেন করা জায়েজ।
তবে এখানে টাকা জমিয়ে রাখা ঠিক নয়, তাতে কর্তৃপক্ষ সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে যায়।
★এই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য উক্ত ধারার সম্মতির অপশনে ক্লিক করা যাবে।