জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো :
পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু। ঐ ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশ-পাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত।
★নখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার সর্বোচ্চ সময়সীমা হল ৪০ দিন। কোন ওজর ছাড়া ৪০ দিনের অতিরিক্ত সময় তা না কাটলে ব্যক্তি গোনাহগার হবে।
সপ্তাহ, পনের দিন সর্বোচ্চ ৪০ দিন হল এসব অবাঞ্ছিত লোম কাটার সর্বোচ্চ সময়সীমা।
ফুকাহায়ে কেরামগন শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে।
এ মর্মে সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
وفى الدر المختار- والأفضل يوم الجمعة وجاز في كل خمسة عشرة وكره تركه وراء الأربعين (رد المحتار على الدر المختار، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/582-583
উত্তম হলো প্রতি জুমআয় পরিস্কার করা,প্রত্যেক পনের দিন পর পরেও পরিস্কার করা জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে মাকরুহ হবে।
তবে সমাজে বলা হয়, ৪০ দিন অতিক্রম করলে ইবাদত কবুল হয়না ; এই কথা ঠিক নয়।