জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের সেজদায়, শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন। এরপর তিনি হাদিসের শেষের দিকে বলেন: "এরপর যা ইচ্ছা প্রার্থনা করবে।"[সহিহ বুখারী (৫৮৭৬) ও সহিহ মুসলিম (৪০২)]
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عِمْرَانَ الثَّعْلَبِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، وَأَبِي، عُثْمَانَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ فُتِحَتْ لَهُ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ "
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করার পর বলেঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ তা'আলা ব্যতিত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীক নেই; আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দাহ ও তারই রাসূল; হে আল্লাহ! আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর”, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে নিজ ইচ্ছামত যে কোন দরজা দিয়েই তাতে যেতে পারবে।
(তিরমিজি ৫৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু নামাজের সেজদায়, শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া কুরআন হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যায়।
সেই হিসেবে অযুর শেষের দোয়াটিও যেহেতু হাদীসে বর্ণিত দোয়া।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শেষ বৈঠকে উক্ত দোয়া পাঠ করাতে আপনার সালাত ভেঙ্গে যায়নি।
আপনার সালাত শুদ্ধ হয়েছে।
(০২)
ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা না দিয়ে প্রবল ধারনা যেদিকে সেটির উপর আমল করবেন।
কোনোদিকে প্রবল ধারনা না হলে (যেমন সেজদার সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে) কমটাকে ধরে নিয়ে বাকিটা আদায় করবেন,শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
(০৩)
আল্লাহর উপর ভরসা করবেন।
আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যাবেন,ইনশাআল্লাহ অস্থিরতা কেটে যাবে।