আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)

আসসালামু 'আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহী ওয়াবারকাতুহ। 

শাইখ, আমার বাবা লন্ডনে থাকেন। সম্প্রতি আমার বাবা সেই দেশে গ্রীন কার্ডের সমপরিমাণ কিছু পেয়েছেন এবং আগামী তিন বছর পর আসল গ্রীনকার্ড পেয়ে যাবেন বলে আশা করেন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন আমার মা এবং আমাদের দুই বোনকে স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়তে  সেখানে নিয়ে যাবার জন্য।  আব্বুর ইচ্ছে আমরা সেখানে গিয়ে উউচ্চশিক্ষা অর্জন করবো, অনেক উন্নত ভালো জীবনযাপন করবো। আব্বু আরো চান আমাকে ওই দেশের একজন এর সাথে বিয়ে করিয়ে দিতে। আল্লাহ ই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। (উল্লেখ্য আমার বয়স ১৯+)

আমার আব্বু খুবই কঠিন মানুষ। আলিমগনের যেসব ফতোয়া উনার মনমতোন হবে না উনি সেগুলো তাচ্ছিল্য ভরে উপেক্ষা করে থাকেন। আমি জানি কাফির দেশে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু উপযুক্ত রেফারেন্স সমৃদ্ধ সুস্পষ্ট কোনো জ্ঞান এই বিষয় এ আমার নেই। আমি তাই খুবই অপরাগ আমার বাবাকে বুঝানোর ব্যাপারে।  আপনাদের কাছে তাই বিনীত অনুরোধ, কাফির দেশে স্থায়ী বসবাসের নিয়তে   যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের হুকুমমত কিরকম? যেন সেটি আমি আব্বুকে দেখাতে পারি। ইনশাআল্লাহ। 

দ্বিতীয়ত, 

শাইখ যেহেতু আমি অবিবাহিতা,  মা-বাবার অধিনেই আমার থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে আমার দিক থেকে না যাওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করার পরেও যদি আমায় যেতে বাধ্য করা হয়, তাহলে আমি কি করবো?  আমি কি বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদেশে না যাওয়ার ব্যাপারে অটল থাকবো নাকি বাবার আদেশ মেনে সেখানে চলে যাবো? কাফির দেশে যাওয়ার ব্যাপারে একান্ত প্রয়োজন এ যে তিনটি শর্তারোপ করা হয়েছে, সেই তিনটির কোনোটির ব্যাপারেই আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারিনা যে সেখানে নিজের ইমান টিকিয়ে আমি বসবাস করার মতো জ্ঞান এবং সাহস রাখি। সেক্ষেত্রে আমার জন্য কোনটি ফরজ? বাবার আদেশ মানা নাকি অমান্য করা? 

বাবা বিদেশে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার জন্য আসা বিয়ের প্রস্তাব গুলো ও ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আগামী তে যদি এমন কোনো প্রস্তাব আসে(ইনশাআল্লাহ)  যা সবদিক থেকে পছন্দসই, আমি কি বাবার বিনা অনুমতি তে সেখানে অন্য মাহরামদের উপস্থিতি তে নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করে নিতে পারবো? 

বিষয়গুলো নিয়ে আমি খুবই অস্থিরতা অনুভব করছি। তাই যথাসম্ভব দ্রুত উত্তর এর প্রত্যাশা রাখছি। ইনশাআল্লাহ। 

আসসালামু 'আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহী ওয়াবারকাতুহ। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলকঃ আয়াত-১৫)

তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই। তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3447

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাওয়াহ ও তাবলিগকে সামনে রেখে অমুসলিম দেশে স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।আপনার জন্য সেখানে যাওয়া ও বসবাস করা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...