১। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টি আবাসিক। সেখানে সকলকে চারটি ভবনে আলাদা করে রাখা হয় এবং সেখানে এই চার ভবনের ছাত্রদের নানা রকম চিহ্ন দ্বারা আলাদা করা হয়।এরপর এই চার ভবনের ছাত্রদের মাঝে নানান প্রতিযোগিতা হয়।কিছু প্রতিযোগীতা রয়েছে যেটা তে ট্রফি হিসেবে যেটা দেয়া হয়,সেই ট্রফিতে মানুষের ছবি দেয়া থাকে।হয়তো চোখ নাক স্পষ্ট থাকে থাকে না,কিন্তু নানা অঙ্গভঙ্গি থাকে।যেমন একজন সাতার কাটছে,বা ব্যাটিং করছে।আমাদের ভবনের ছাত্ররা ভালো করলে ট্রফিটি আমাদের ভবনের সিড়ি নিচে সো কেইসে রাখা থাকে।আমরা খারাপ করলে অন্য ভবনেও একই জায়গায়,মানে সিড়ির নিচে থাকে।অর্থাৎ এটি একটা না একটা ভবনে যাবেই।এই ক্ষেত্রে আমি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেই,সেটা কি হারাম হবে,কেননা কিছু কিছু ছবি খোদাই এর মতো ও মনে হয়।এখানে জুয়ার মতো কিছু নেই,অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশের জন্য আলাদা টাকা নেয়া হয় না,কেবল মাসে মাসে আমাদের বেতন নেয়া হয়।আমার জন্য কি এসব প্রতিযোগিতায় যাওয়া জায়েজ হবে?
২।আমি যদি কোন হালাল জিনিসকে হারাম মনে করি ( না জেনে )। এবং আমি হারাম মনে করেও তা করি, ( যেহেতু আমি হারাম মনে করি, আমার তা না করার কথা )। তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? ( কারন আমার নিয়্যাত অনুযায়ি তো আমি হারাম কাজ করছি ), যদিও বা কাজটা প্রকৃত পক্ষে হালাল ছিল, যা আমি জানতাম না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি একটা কাজকে হারাম জানা সত্যেও তা করার জন্য গুনাহ হবে কিনা ( আসলে সেটা হালাল ছিল )।
৩। আমি যদি আমার বন্ধুর বাসায় থাকতে যাই,আন্টি থেকে নজর হেফাজত করি।তারা পর্দা করাযে ফর‍য ত আ জানেই না ( বা জেনেও মানে না। কিন্তু আমার ধারনা জানেই না )। আমি যদি আন্টি বা বন্ধু কে পর্দা করার দাওয়াত না দেই,আমার কি সে বাসায় গেলে গুনাহ হবে? যেহেতু আমি নিজের নজর হেফাজত করছি, কিন্তু আমার সামনে যে তারা তাদের পর্দার বিধান অমান্য করছে, এনিয়ে তাদের সতর্ক করছি না।