আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
Asslamualikum wa rohmatullohi wa Barokatuh
1.অনেক সময় নামাযে গলার ভিতর থেকে কেমন একটা আওয়াজ হয় অনিচ্ছাকৃত ভাবে এর জন্য কি নামায ভঙ্গ হবে? মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ হয় না শুধু গলার ভিতর থেকেই আওয়াজ টা হয়।
2.আমরা আই ফাতওয়া তে সালাত সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করি যেমন সালাত কি শুদ্ধ হয়েছে কিনা ইত্যাদি প্রশ্ন। এই প্রশ্ন গুলো করার পর আমরা অনেক পরে হয়তো উত্তর গুলো পাই তো এখন আমরা যে এভাবে ওয়েট করি তার জন্য কি আমাদের গুনাহ হবে? বা আমরা যদি এই অবস্ত্থায় মারা যাই আল্লাহ কি মাফ করবেন?যেহেতু  আমরা তখন জানতে পারি না যে আমাদের নামায আদৌ শুদ্ধ হয়েছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে আওয়াজ বের হওয়া সম্পর্কে একটা মূলনীতি মূলক আলোচনা প্রথমে জেনে নিতে হবে,

"নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি  দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل

(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১)" এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নামাযে গলার ভিতর থেকে কেমন একটা আওয়াজ হয় অনিচ্ছাকৃত ভাবে এর জন্য নামায ভঙ্গ হবে না।কেননা যেহেতু মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ হয় না শুধু গলার ভিতর থেকেই আওয়াজটা হয়। আর নামায ভঙ্গের সম্পর্ক আওয়াজ বাহির হওয়ার সাথে।

(২)
প্রশ্ন করার পর যাচাই বাচাই ও রেফারেন্স খুজতে যাওয়ার দরুণ জবাব পেতে দেরী হয়, সুতরাং আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন, জবাব পাওয়ার পূর্বে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে গেলে, এর জন্য আপনাকে পাকরাও করা হবে না।কেননা আপনি সংশোধন করার জন্য আপনার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা প্রচেষ্টা করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 121 views
...