ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে আওয়াজ বের হওয়া সম্পর্কে একটা মূলনীতি মূলক আলোচনা প্রথমে জেনে নিতে হবে,
"নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل
(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১)" এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নামাযে গলার ভিতর থেকে কেমন একটা আওয়াজ হয় অনিচ্ছাকৃত ভাবে এর জন্য নামায ভঙ্গ হবে না।কেননা যেহেতু মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ হয় না শুধু গলার ভিতর থেকেই আওয়াজটা হয়। আর নামায ভঙ্গের সম্পর্ক আওয়াজ বাহির হওয়ার সাথে।
(২)
প্রশ্ন করার পর যাচাই বাচাই ও রেফারেন্স খুজতে যাওয়ার দরুণ জবাব পেতে দেরী হয়, সুতরাং আপনার দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন, জবাব পাওয়ার পূর্বে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে গেলে, এর জন্য আপনাকে পাকরাও করা হবে না।কেননা আপনি সংশোধন করার জন্য আপনার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা প্রচেষ্টা করেছেন।