বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
قُل لَّا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ
مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا
مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ
اللَّهِ بِهِ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ
رَّحِيمٌ
আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত
রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ
ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা
করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল
দয়ালু। সূরা আনআম, আয়াত নং-১৪৫
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ
خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার
বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে
হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. রক্ত নাজাসাতে গালিযা। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
জেনে শুনে খাদ্য গ্রহণ করার দ্বারা হারাম ভক্ষন হয়েছে। কেননা ফলে বের হওয়া রক্তও খেয়ে
ফেলা হয়েছে।
২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কুফরী হয়নি এবং ঈমানও
চলে যায়নি। কারণ, সে তো আর রক্ত খাওয়া হালাল মনে করে খায়নি এবং এই জন্য বিসমিল্লাহও বলেনি। বরং খাবার শুরুর জন্য বিসমিল্লাহ বলেছে। তাই পেরেশানীর
কোনো কারণ নেই। তবে এভাবে রক্ত বের হওয়ার পরও খাদ্য গ্রহন করাটা ঠিক হয়নি