আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
কোনো ব্যাক্তি বিসমিল্লাহ বলে খাবার গ্রহণ শুরু করলো। খাদ্যগ্রহণের শেষ দিকে হাড়ের খোঁচা লেগে মুখের ভেতরে কেটে যাবার অনুভূতি হল। সে ধারণা করলো যে, হয়তো কিছুটা রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমতাবস্থায়, খাবার খেয়ে সম্পূর্ণ করলো।

খাওয়া শেষে আয়নার সামনে এসে দেখা গেল যে, মুখের অভ্যন্তরে সামান্য অংশে কেটেছে এবং কাটা অংশ থেকে তখনো রক্ত বের হচ্ছে। বেশ কয়েকবার কুলি করার পরে রক্ত আসা বন্ধ হল। অনেকসময় চাবানোর সময় দাঁতের কামড়েও মুখের ভিতরে এরুপ ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং রক্তক্ষরণ হয়।

প্রশ্ন ১: রক্ত আসার পরেও খাদ্যগ্রহণ চলমান রাখার কারনে বর্ণিত পরিস্থিতিতে হারাম ভক্ষণ হয়ে গেল কি?

প্রশ্ন ২: খাদ্য গ্রহণের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে। হারাম হবার সম্ভাবনার কথা চিন্তা করা সত্বেও খাদ্যগ্রহণ চলমান রাখার কারনে বর্ণিত পরিস্থিতিতে কুফরি হল কি? ঈমান চলে যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

قُل لَّا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু। সূরা আনআম, আয়াত নং-১৪৫

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. রক্ত নাজাসাতে গালিযা। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে জেনে শুনে খাদ্য গ্রহণ করার দ্বারা হারাম ভক্ষন হয়েছে। কেননা ফলে বের হওয়া রক্তও খেয়ে ফেলা হয়েছে।

২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কুফরী হয়নি এবং ঈমানও চলে যায়নি। কারণ, সে তো আর রক্ত খাওয়া হালাল মনে করে খায়নি এবং এই জন্য বিসমিল্লাহও বলেনি। বরং খাবার শুরুর জন্য বিসমিল্লাহ বলেছে। তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। তবে এভাবে রক্ত বের হওয়ার পরও খাদ্য গ্রহন করাটা ঠিক হয়নি 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...