আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
শাইখ,নিচে উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়ে সাহায্য করবেন, ইন শা আল্লাহ
১. হকের ব্যাপারটা তো হাশরের মাঠে তোলা হবে।তখন তো ভালো আমল দিয়ে ওই ব্যাক্তির হক আদায় করে দিতে হবে, তাই না?

আচ্ছা,কবরের জীবনে কি বান্দার হক নষ্ট করাতে আজাব ভোগ করতে হবে?

যেমন, ধরুন আমার আমলনামায় ৭০% নেক আমল রয়েছে এবং ৩০% বদ আমল রয়েছে যা আমি অন্যের হক নষ্ট করার মাধ্যমে অর্জন করেছি।এমতাবস্থায় আমি কি কবরের আজাবের সম্মুখীন হবো?

২.অগণিত মানুষের গীবত করেছি, মনে কষ্ট দিয়েছি,মিথ্যা বলেছি ইত্যাদি।উনাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি ও রয়েছেন যাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া আপাতদৃষ্টিতে আমার পক্ষে অসম্ভব! (অহংকার বশত না)।যেমন,আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন,আমার অনেক গুরুজন,নন-মাহরাম প্রমুখ ব্যাক্তি।হ্যাঁ, যদি আমি কোনো অনুষ্ঠান কিংবা এমন উউপলক্ষে উনাদের কাছে ক্ষমা চাই যা সমাজে প্রচলিত। যেমনঃঈদ,বিদায় অনুষ্ঠান। তবে এখন যদি আমি হুট করে সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া শুরু করি তাহলে উনারা ব্যাপার টা কিভাবে নেবেন তা জনা নেই আমার।তাছাড়াও এমন হুট করে এতো মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া আমার জন্য ভীষণ বিব্রতকর।আমি যদি এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা খুব গুরুত্ব এর সাথে নেই তাহলে আমার যাবতীয় নিত্য দিনের কাযে ব্যাঘাত ঘটবে এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার ও আশংকা করছি কেননা ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপার টা আমার জন্য এখন ভীষণ বিব্রতকর এবং লজ্জাজনক (অনেক মানুষের কাছে)।আমার ভয় হচ্ছে,যদি সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পূর্বেই মালাকাল মউত হাজির হয় তখন!আমার কি করা উচিত, শাইখ?

৩.আচ্ছা, আমি যদি নিয়াত করি যে আমি আস্তে ধীরে একে একে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো এবং যেমন বিভিন্ন উপলক্ষে। যদি এর মধ্যে ই মালাকাল মউত চলে আসে তাহলে কি আমি কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারি?

৪.৩ নং পয়েন্টে উল্লিখিত বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন।আমি কি এই নিয়াতের ফলে নিয়াত পরিপূর্ণ না করতে পারা স্বত্বে ও আল্লাহর ক্ষমা পেতে পারি?

৫.পায়ু পথের এমন স্থান যা সাধারণত দাঁড়ানো অবস্থায় স্পর্শ করা যায় না কিন্তু টয়লেটে যেইভাবে বসা হয় ওইভাবে বসলে স্পর্শ করা যায় ওই স্থানে যদি ১ দিরহামের বেয়াহি পরিমাণে নাপাকী লাগে তাহলে কি শরীর নাপাক বলে গন্য হবে?ফরজ গোসলের সময় কি ওই স্থানে পানি প্রবেশ করানো জরুরি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কারো আমলনামায় ৭০% নেক আমল রয়েছে এবং ৩০% বদ আমল রয়েছে যা সে অন্যের হক নষ্ট করার মাধ্যমে অর্জন করেছে। এমতাবস্থায়ও তাকে কবরে আজাব হবে। কেননা হাদীসে এসেছে, চোগলখোরির দরুণ কবরে আযাব হয়েছে।

(২) যাদের গীবত করেছিলেন,উক্ত গীবত সম্পর্কে যারা অবগত নয়, তাদের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাইতে হবে না।বরং শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে।

(৩)যারা আপনার গিবত সম্পর্কে অবগত।তাদের কাছে সরাসরি বা লোক মারফত ক্ষমা চেয়ে নিবেন।বা চিঠিপত্রের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।তাহলেই হবে না।

(৪)নিয়তের কারণে আল্লাহ চাহে তো ক্ষমা করে দেবেন।

৫)পায়ু পথের এমন স্থান যা সাধারণত দাঁড়ানো অবস্থায় স্পর্শ করা যায় না কিন্তু টয়লেটে যেইভাবে বসা হয় ওইভাবে বসলে স্পর্শ করা যায় ওই স্থানে যদি ১ দিরহামের পরিমাণে নাপাকী লাগে তাহলে শরীর নাপাক বলে গন্য হবে।ফরজ গোসলের সময় ওই স্থানে পানি প্রবেশ করানো জরুরি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...