শাইখ,নিচে উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়ে সাহায্য করবেন, ইন শা আল্লাহ
১. হকের ব্যাপারটা তো হাশরের মাঠে তোলা হবে।তখন তো ভালো আমল দিয়ে ওই ব্যাক্তির হক আদায় করে দিতে হবে, তাই না?
আচ্ছা,কবরের জীবনে কি বান্দার হক নষ্ট করাতে আজাব ভোগ করতে হবে?
যেমন, ধরুন আমার আমলনামায় ৭০% নেক আমল রয়েছে এবং ৩০% বদ আমল রয়েছে যা আমি অন্যের হক নষ্ট করার মাধ্যমে অর্জন করেছি।এমতাবস্থায় আমি কি কবরের আজাবের সম্মুখীন হবো?
২.অগণিত মানুষের গীবত করেছি, মনে কষ্ট দিয়েছি,মিথ্যা বলেছি ইত্যাদি।উনাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি ও রয়েছেন যাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া আপাতদৃষ্টিতে আমার পক্ষে অসম্ভব! (অহংকার বশত না)।যেমন,আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন,আমার অনেক গুরুজন,নন-মাহরাম প্রমুখ ব্যাক্তি।হ্যাঁ, যদি আমি কোনো অনুষ্ঠান কিংবা এমন উউপলক্ষে উনাদের কাছে ক্ষমা চাই যা সমাজে প্রচলিত। যেমনঃঈদ,বিদায় অনুষ্ঠান। তবে এখন যদি আমি হুট করে সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া শুরু করি তাহলে উনারা ব্যাপার টা কিভাবে নেবেন তা জনা নেই আমার।তাছাড়াও এমন হুট করে এতো মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া আমার জন্য ভীষণ বিব্রতকর।আমি যদি এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা খুব গুরুত্ব এর সাথে নেই তাহলে আমার যাবতীয় নিত্য দিনের কাযে ব্যাঘাত ঘটবে এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার ও আশংকা করছি কেননা ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপার টা আমার জন্য এখন ভীষণ বিব্রতকর এবং লজ্জাজনক (অনেক মানুষের কাছে)।আমার ভয় হচ্ছে,যদি সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পূর্বেই মালাকাল মউত হাজির হয় তখন!আমার কি করা উচিত, শাইখ?
৩.আচ্ছা, আমি যদি নিয়াত করি যে আমি আস্তে ধীরে একে একে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো এবং যেমন বিভিন্ন উপলক্ষে। যদি এর মধ্যে ই মালাকাল মউত চলে আসে তাহলে কি আমি কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারি?
৪.৩ নং পয়েন্টে উল্লিখিত বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন।আমি কি এই নিয়াতের ফলে নিয়াত পরিপূর্ণ না করতে পারা স্বত্বে ও আল্লাহর ক্ষমা পেতে পারি?
৫.পায়ু পথের এমন স্থান যা সাধারণত দাঁড়ানো অবস্থায় স্পর্শ করা যায় না কিন্তু টয়লেটে যেইভাবে বসা হয় ওইভাবে বসলে স্পর্শ করা যায় ওই স্থানে যদি ১ দিরহামের বেয়াহি পরিমাণে নাপাকী লাগে তাহলে কি শরীর নাপাক বলে গন্য হবে?ফরজ গোসলের সময় কি ওই স্থানে পানি প্রবেশ করানো জরুরি?