ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কি কি কারণে সাহু সিজদা দিতে হবে....
وفي الولوالجية الأصل في هذا أن المتروك ثلاثة أنواع فرض وسنة وواجب ففي الأول أمكنه التدارك بالقضاء يقضي وإلا فسدت صلاته وفي الثاني لا تفسد؛ لأن قيامها بأركانها وقد وجدت ولا يجبر بسجدتي السهو وفي الثالث إن ترك ساهيا يجبر بسجدتي السهو وإن ترك عامدا لا، كذا التتارخانية.
নামাযে ছুটে যাওয়া জিনিষ তিন প্রকার,যথা-(১) ফরয (২) সুন্নত (৩) ওয়াজিব।
যদি নামাযে কোনো ফরয ছুটে যায়, এবং তাকে আদায় করা সম্ভব হয়, তাহলে আদায় করা হবে।আর আদায় করা না হলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যদি নামাযে সুন্নত ছুটে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। কেননা নামায মূল রুকুন গুলো পাওয়া গেলেই হল, এবং এগুলো তো পাওয়া গিয়েছে।
আর যদি নামাযে ওয়াজিব ছুটে যায়, যদি ভুলে ছুটে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর ইচ্ছাকৃত তরক করলে তখন সিজদায়ে সাহু দ্বারা কাজ হবে না, বরং নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৬)
সাহু সিজদার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয হোক বা নফল সকল নামাযেরই কিছু রয়েছে ফরয এবং কিছু সুন্নত ও কিছু নফল। সুতরাং নামায ফরয হোক বা নফল যদি সেই নামাযের কোনো ওয়াজিব ভুলে তরক হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে। নতুবা নামায আদায় হবে না।
(২)
হায়েজ যেদিন শেষ হয়েছে সেই দিন পানি না থাকায় গোসল করা যায়নি,তাহলে তো পরদিন গোসল করতে হবে, এমতাবস্থায় গোসল না করে আগামীদিনের রোজা রাখা যাবে। তবে গোসল না করতে পারলে নামায তো হবে না, তাই নামায পড়ার নিমিত্বে ঐ বোন হায়েয শেষ হওয়ার সাথে তায়াম্মুম করে নিবেন।