بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/59454/?show=59454#q59454
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সমস্ত ফরজ নামাজ মসজিদে জামা'আতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। মসজিদের জামা'আত ছেড়ে দিয়ে
ঘরে ফরজ নামাজ এর জামা'আত করা মাকরুহ। এতে মসজিদের জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।
ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-
لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ
الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ
الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.
আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর
জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট
ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই
ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ
بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.
অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ
গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/5491/
**মাকরুহ তিন ওয়াক্ত যদি কেউ নামায পড়ে নেয়,তাহলে তার নামায কি বাতিল বলে গণ্য হবে?না তার নামায হয়ে যাবে?চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল
আরবা'আহ"
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد
العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق
الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা
সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল (ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায
ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা
অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায়
উত্তমভাবে আদায় হবে। (বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)
সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আছরের নামায হবে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল
উলূম-২/৩৫;)(
শেষ)এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
১. ইচ্ছাকৃত
ভাবে নামাজ বিলম্ব করে পড়া যাবে না। সময় মত আদায় করার সর্বাত্নক চেষ্টা করতে হবে।
তবে কোন কারণে যদি দেরী হয়ে যায় তাহলে ওয়াক্তের মধ্যেই উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু
এক ওয়াক্তের নামাজ ভিন্ন ওয়াক্তে আদায় করা যাবে না অন্যথায় তা কাযা নামাজ হিসেবে
গণ্য হবে। যেমন: যোহরের নামাজ আছরের ওয়াক্তে। সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের
আছরের নামায হবে।
২. এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন: https://ifatwa.info/55657/