আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
১.নামাজে সূরার কয়েক আয়াত তিলাওয়াতের পর বাকি আয়াত ভুলে গেলে যতটুকু মনে ছিলে সেটা পড়ে নামাজ শেষ করে সাহু সিজদা দিলে কি হবে?
২.বিয়ের পর ছেলের মামা চাচারা কি ছেলের বউয়ের মাহরাম কেউ হবে?
৩.বোন,বোনের জামাইয়ের কি আমি ৭৮ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সফর করতে পারতো??
৪.মাজুর ব্যক্তি যদি যোহরের নামাজ এর জন্য অজু করার পর দেখে নামাজের ওয়াক্ত শেষ হতে আর ১ মিনিট বাকি তাহলে কি সে সেই অযু দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে পারবে নাকি আবার নতুন করে অজু করতে হবে? যেহেতু অজু করেছিলো যোহরের নামাজ পড়ার জন্য কিন্তু ওয়াক্ত শেষ হওয়ায় পড়তে পারেনি।
৫.একজন বোন,তার বাবার বাড়ি থেকে শশুড়বাড়ি সফরের দূরত্বের চেয়ে বেশি কিন্তু বোনটির হাজব্যন্ডের চাকরির কারণে তাকে তার স্বামীর সাথে চাকরিস্থলে থাকতে হয়।তাহলে এক্ষেত্রে নামাজ আদায় এর সময় কোন জায়গা থেকে কোন জায়গা যাতায়াতের সময় সে মুসাফির হবে এবং কিভাবে সালাত আদায় করবে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে সূরার কয়েক আয়াত তিলাওয়াতের পর বাকি আয়াত ভুলে গেলে যতটুকু মনে ছিলে সেটা পড়ে নামাজ শেষ করে সাহু সিজদা দিলে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সাহু সেজদাহ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
কেননা এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়না। 

(০২)
বিবাহের পর ছেলের মামা চাচারা ছেলের স্ত্রীর মাহরাম হবেনা।
তারা গায়রে মাহরামই থাকবে।

(০৩)
না,আপনি তাদের সাথে ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দূরত্বে সফর করতে পারবেননা।
কেননা এখানে আপনার জন্য আপনার সাথে মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে।
আপনার বোনের জামাই আপনার মাহরাম পুরুষ নয়।

(০৪)
তাকে আসরের ওয়াক্তে আবারো অযু করে আসরের নামাজ পড়তে হবে।

(০৫)
এখানে যেই জায়গায় যাতায়াতের দূরত্ব ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হবে,সেই জায়গায় যাতায়াতের পথে তাকে কসরের নামাজ আদায় করতে হবে।
তবে শশুর বাড়ি হোক বা চাকরি স্থলে হোক,যাতায়াত শেষ করে শশুর বাড়িতে বা চাকরি স্থলে পৌছার পর পূর্ণ নামাজই আদায় করতে হবে।

তবে শশুর বাড়ি হতে চাকরি স্থল ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দুরত্বে হলে আর চাকরি স্থলে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানে গিয়ে তারা কসর আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (66 points)
বোন,বোনের জামাইয়ের সাথে  কি আমি ৭৮ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সফর করতে পারতো?? বোনের মাহরাম তার স্বামী কিন্তু আমার তো নন। তাহলে কি তাদের সাথে আমি সফরে যেতে পারবো?
by (565,890 points)
না,আপনি তাদের সাথে ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দূরত্বে সফর করতে পারবেননা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...