আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
309 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর একটি অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরছে। দয়া করে দ্রুত জানাবেন।

আমি কিছু দিন আগে অনেক নামি দামি এক প্রতিষ্ঠান এ যাই একটা প্রয়োজনে। তো নামাজের টাইম হয়ে গেলে অফিসের ভিতরেই একটা নামাজের জায়গা আছে ওখানে গেলাম।  একজন ঈমাম ওখানে নিয়োজিত আছেন নামাজ পড়ানোর জন্য। তো নামাজ শেষে উনি মুনাজাত করতেছেন। এক পর্যায়ে উনি বললেন - " আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি তাসবিহ তাহলিল করার তৌফিক দাও।" তো তিনি "তাসবিহ তাহলিল" কথাটা খুব শুদ্ধ করে বলেছিলেন। তখনি কেমন এক চিন্তা আমার মাথায় আসল। এরকম বড় অফিসে এত শুদ্ধ করে পড়তেছে। আমি আসলে লিখে বুঝাতে পারতেছি না কেমন যেন একটা মনোভাব হইছিল। কেমন যেন একটা অবজ্ঞা এর মত ভাব মনে আসল। মনে মনে হাসির উদ্রেক ও হয়েছিল মনে হয়। ঠিক ঐ সময় আমার মুখে হাই আসল। তারপর হটাৎ মুখ নড়ে উঠলো।  আমি বুঝতেছি না আমি কি হেসে ফেলছিলাম কিনা। তারপর থেকেই মাথায় খালি ঘুরছে আমি কাফির হয়ে গেলাম নাতো।
আমার মনে তাসবিহ তাহলিল কে অবজ্ঞা করার মত কোন ভাব  আসেনি। উনি যে অতি শুদ্ধ করে বলছিলেন অইটার প্রতি হাসির উদ্রেক আসছিল মনে হয়। আর হেসে দিছি কিনা এটা বুঝতেছি না। প্রথম প্রথম মনে হইছে এটা স্বাভাবিক নড়া চড়া। আবার মনে হয় যে হেসে দিয়েছিলাম নাতো।
আমার ঈমান কি ঠিক আছে। খুব টেনশনে আছি। একটু দয়া করে দ্রুত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনার ঈমান ঠিক আছে,কোনো সমস্যা নেই।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...