আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
372 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
আসসালামুআলাইকুম।কোন স্ত্রী মেসেজে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি কিছু না বলে অথবা স্ত্রীকে থামানোর জন্য বলে দিব।স্বামী জানে স্ত্রী এমনিতে বলতেছে।আর স্বামীও চায় না তালাক দিতে।এমনিতে স্ত্রীকে থামানোর জন্য দিবে বলেছে ধরেন।তহ এরপর স্ত্রী যদি বলে মা বাবার পছন্দমত বিয়ে করতাম অনেক ভাল হতো।এর উত্তরে স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? অথবা তালাক চাওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ না বলে আরো ২-১ টা মেসেজের পর বা কয়েকটা মেসেজের পর কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে? প্রশ্ন ২টার উত্তর জানার ছিল।যদি বলতেন বুঝিয়ে তাহলে ভাল হতো।
 আপনি বলেছিলেন এর উত্তরে তালাক হবে না।অন্য আরেকটা হুজুরে যদি তালাক হবে বলে তাহলে কোনটা মানা যাবে? এখন সেই মানুষটা যদি আপনারটা মানতে চায় আর সংসার করতে চায় তাহলে কি কোন গুণাহ বা সমস্যা হবে? দয়া করে কিছু মনে করবেন না।যখন কথা গুলো হয়েছিল তখন ধরেন স্বামী স্ত্রীর কেউ কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতও না শুনেও নি কোনদিন।তারা একসাথে সংসার করতে চায়।

1 Answer

0 votes
by (704,490 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

https://ifatwa.info/57157/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কোন স্ত্রী মেসেজে তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি কিছু না বলে অথবা স্ত্রীকে থামানোর জন্য বলে দিব।স্বামী জানে স্ত্রী এমনিতে বলতেছে।আর স্বামীও চায় না তালাক দিতে।এমনিতে স্ত্রীকে থামানোর জন্য দিবে বলেছে । এরপর স্ত্রী যদি বলে মা বাবার পছন্দমত বিয়ে করতাম অনেক ভাল হতো।এর উত্তরে স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলে তাহলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (100 points)
মানে উপরের প্রশ্ন ২ টার কোনটার জন্য তালাক হবে না তাই না হুজুর?
by (704,490 points)
জী,তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...