ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কাউকে মনে মনে গালি দেয়াও জায়েয হবে না।
(২)জ্বী, হাদীসের রেফারেন্স বিশুদ্ধ।
(ক)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি তোমাকে তোমার সে বিষয় নিয়ে গালি দেয় যা সে জানে, তখন তুমি সেই ব্যক্তিকে সেই বিষয় ধরে গালি দিয়ো না যা ওর মধ্যে আছে আর তুমি তা জানো। এতে তোমার পুণ্য লাভ হবে এবং ওর ওপর হবে পাপের বোঝা। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৯৪)
পরষ্পর গাল-মন্দকারী উভয়ে দুইটি শয়তান। তারা পরষ্পরের নিন্দা করে এবং মিথ্যা কথা বলে। (মুসনাদু আহমদ, হাদিস : ১৬৮৩৬)
(৩)যে ব্যক্তি গালি দেয়, সে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে এমনটা বলা যাবে।
(৪)ছোটদের স্নেহ করা এবং বড়দের সম্মান করা ইসলামের শিক্ষা।
(৫)কাউকে অযথা অমানুষ, বেয়াদব, অসভ্য, মুনাফিক,ফাসিক বলে গালি দেওয়া জায়েয হবে না।
বস্তুত সে সব সময় বড়দের সাথে বে আদবি করে, অসভ্যদের মত আচরণ করে, ফাসিকের মত গালাগালি করে, মুনাফিকের মত মিথ্যা বলে।
(৬)
হাদীসটি রেফারেন্স বিশুদ্ধ।হ্যা, সনদ দুর্বল।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهُ تَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهُ «. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي» الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ وَقَالَ: فِي هَذَا الْإِسْنَاد ضعف
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দাওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)
(৭)
বার বার কথায় কথায় সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে এবং অসম্মান করে নিচু দেখায় এমন আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে।তবে উত্তম হল তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।