অন্যের নিষেধ না থাকা সত্ত্বেও তার কথা বললে আমানতের খিয়ানত হবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
কেউ হয়তো কিছু বলেছে, সে বলেনি আর কাউকে না বলতে।অর্থাৎ এই কথা টা অন্য কাউকে বলা যাবে না এমন বলেন নি।এইক্ষেত্রে তার কথা অন্যকে বলা, জানানো কি উচিত হবে নাকি আমানতের খিয়ানত হবে? কোনো খারাপ কথাই না আলহামদুলিল্লাহ এমনি কেউ যদি তার কী খবর, কেমন আছেন জানতে চান,কোনো সমস্যায় আছেন কিনা জানতে চান তার খোঁজখবর অন্য জনের মাধ্যমে নিতে চান এইক্ষেত্রে তার কথা কি বলা যাবে?নাকি তা আমানতের খিয়ানত হবে?এইক্ষেত্রে কি যার কথা বলবে তার পারমিশন নিতে হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-

,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ

(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। সূরা মুমিনূন ২৩/৮

নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,

لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ

শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩

অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,

آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ

মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত তার কথা অন্যকে বলা, জানানো জায়েজ হবে। 

এতে কোনো সমস্যা নেই।

কারন প্রশ্নোক্ত ছুরত আমানতের অন্তর্ভুক্ত নহে।

অন্যকে বললে কোনো সমস্যা নেই।

তবে তার কোনো দোষ ত্রুটির কথা অন্যকে বলা যাবেনা।

এতে গীবত হয়।