আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে যারা হামলা(নিহতদের বেশিরভাগ অমুসলিম,এবং কয়েজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক ও ছিলো) করেছিলো তাদের দাবি অনুযায়ী সেটা জিহাদ ছিলো।কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ উলামায়ে কেরাম সেটা অস্বীকার করেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাদের এই কাজ যদি জিহাদ না হয় তাহলে কি ইজতিহাদী ভুল হিসেবে গণ্য হবে?

ইসলামী শরীয়া আইনে তাদের শাস্তি কেমন হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান  অনুপাতে কোনো মুসলিম অমুসলিমকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা যাবেনা।
যেসমস্ত কাফের রাষ্ট্রের সাথে আমাদের চুক্তি আছে,তাদের সাথে যুদ্ধ করা যাবেনা।
শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে কোনো বিশৃংখলা তৈরী করা যাবেনা।
,
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘’আল্লাহর নিকট পৃথিবী ধ্বংস হওয়াটা অধিকতর সহজ ব্যাপার একজন মুসলিম খুন হওয়ার পরিবর্তে’’ তিরমিযি ১৩৯৫; মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৪৬২ 
,
মুসলিম হত্যার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

নিরপরাধ কাফেরকে হত্যা করার বিধান সম্পর্কে জানুনঃ 
,  
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

 " ثلاثة من أصل الإيمان : الكف عمن قال لا إله إلا الله ولا تكفره بذنب ولا تخرجه من الإسلام بعمل، والجهاد ماض منذ بعثني الله إلى أن يقاتل آخر أمتي الدجال لا يبطله جور جائر ولا عدل عادل، والإيمان بالأقدار " . 

 তিনটি বিষয় ঈমানের মূলের অন্তর্ভুক্ত। (এক) যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়বে তার ক্ষতি করা হতে বিরত থাকা, কোন গুনাহের কারণে তাকে কুফরির দিকে ঠেলে না দেয়া এবং (শরী’আতের বিরোধী) কোন কাজের কারণে তাকে ইসলাম থেকে বহিস্কার না করা। (দুই) আমাকে (রাসূল করে) প্রেরনের সময় থেকে জিহাদ চালু রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। অবশেষে উম্মাতের জিহাদকারী সর্বশেষ দল দাজ্জালের বিরুদ্ধে (قتال-ক্বিতাল) যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কোন অত্যাচারী শাসকের অত্যাচার অথবা কোন ন্যায়পরায়ণ শাসকের ইনসাফ এটাকে রহিত করতে পারবে না। (তিন) তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস রাখা। (সুনানে আবু দাউদ ২৫৩২, মান: যঈফ)
,
★সুতরাং হলি আর্টিজান হামলা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নাজায়েজ। 
এটি সন্ত্রাসী মূলক কাজ। 
যাহা কোনোভাবেই শরীয়ত অনুমোদিত নয়।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটিকে ইজতিহাতে ভূল বলার সুযোগ নেই।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে নিরপরাধ অমুসলিমদের হত্যা করার কারনে তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...