আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
এক ভাই হারাম রিলেশন থেকে বের হয়ে আল্লাহর জন্য ২ মাস বিচ্ছেদে ছিল। এর মধ্যে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই তাওবা করে এবং ইসলাম মানার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই দুই জনের নিজেদের পিতামাতাকে বলে যেন তাদের বিয়ে দেয়া হয়। ছেলের মা রাজি হলেও মেয়ের বাবা-মা রাজি হয় না।  এমতাবস্থায়, ছেলে-মেয়ে ২ জনেই এক হুজুরের নিকট শরণাপন্ন হয়ে ৫-৬ জন সাক্ষীর সামনে ইজাব-কবুল করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরিবারের কেউ এখনো জানেই না যে তাদের বিয়ে হয়েছে।  তবে পরিবারকে এই বিয়ের কথা না জানিয়ে পরবর্তীতে পুনরায় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে তাদের।
তারা ফোনে আলাপ, মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা, ভিডিও কল, মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে দেখা করে। মেয়ে অন্য সময় পরিপূর্ণ পর্দা করলেও দেখা করার সময় নিজ স্বামির সামনে এমন ভাবে মুখ খোলা রাখে যেন অন্যরা না দেখে। রেস্টুরেন্টে এব্যাপারটা সহজ। সবার সিট আলাদা আলদা থাকে এবং প্রাইভেট স্পেস পাওয়া যায়। তারা এভাবে মাসে প্রাত ১ বার দেখা করে। দেখা করার সময় কেউ দেখার ভয় না থাকায় তারা কিছুটা কাছে আসে। (চুম্বন,আলিংগন, ছোয়া)। মাঝে মাঝে ছেলেটি মেয়েটিকে বলে যেন মেয়েটি ছেলেটির লজ্জাস্থানে হাত দেয়।  মেয়েটি কয়েকবার মানা করেছিল তাই ছেলেটি রেগে গিয়ে বলেছিল, " আমার লজ্জাস্থান তোমার জন্য পরবর্তী বিয়ের আগ পরযন্ত হারাম করে দিলাম"।
এমতাবস্থায়, উক্ত বক্তব্যে এক তালাক হয়েছে কি না?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
স্বামী বলেছেঃ-
" আমার লজ্জাস্থান তোমার জন্য পরবর্তী বিয়ের আগ পর্যন্ত হারাম করে দিলাম"
উক্ত কথা দ্বারা ঈলা হবেনা।
কেননা এখানে আল্লাহর নামে শপথ পাওয়া যায়নি।
,
এখানে তালাকের নিয়তও পাওয়া যায়নি 
আবার এখানে স্বামীর লজ্জাস্থানের দিকে ইঙ্গিত করে কথা বলেছে,স্ত্রীর লজ্জাস্থানের দিকে ইঙ্গিত করেনি,এখানে স্ত্রীকে নিজের উপর হারাম এই জাতীয় বাক্যও বলেনি।
এখানে শুধু লজ্জাস্থানকে হারাম করেছে,পুরো শরীরকে হারাম করেনি,সাংসারিক জীবনকে হারাম বলেনি।

সুতরাং উপরোক্ত কথা দ্বারা তালাক হবেনা।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল থাকবে। 

তবে এখানে স্বামী তালাকের নিয়তে বলে থাকলে তালাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...