আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কোন স্বামী স্ত্রী  ধরেন কথা কাটাকাটির সময়  ভিড়িও কলে বল যতদিন এখানে আসবে না মানে স্বামীর  বাসায় যতদিন আসবে না ততদিন স্ত্রীর কাছে যাবে না মানে স্ত্রী শহরে থাকে শহরে যাবে না আর স্ত্রীর কাছে বা স্ত্রীর সাথে দেখা করতে।মানে স্ত্রী দূরে থাকে।মাসে মাসে যায় আর কি স্ত্রীর কাছে।সহবাস ও হয় তখন সবসময়।এখানে তহ স্বামী শপথ করে নি তাহলে কি উপরের কোন কথা দ্বারা কি ঈলা হবে?স্বামী বার বার স্ত্রীকে এনে ফেলতে চাচ্ছে বাড়িতে কিন্তুু স্ত্রী চাচ্ছে আরো পরে যাওয়ার জন্য।তাই স্বামী রাগে বলেছে।

২।স্বামী যদি বলে বাসায় যখন আসবা তখন দরকার পরলে থাকিও না আমার পাশে তবু  চলে আস বাসায়।এটার দ্বারা কি ঈলা হবে?

 ৩। ১ নং প্রশ্নের স্ত্রী টা কথা গুলো হওয়ার পর স্বামীকে বলল আপনি পরশু আসবেন আমার কাছে।স্বামী বলে না তুমাকে এক্কেবারে নিতে আসব যে মানে শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাবে যে।মানে যদি যায় স্ত্রীর ওইখানে তাহলে তখনই যাবে যখন স্ত্রীকে নিয়ে আসবে।এটার দ্বারা কি ঈলা হবে?

৪।কেও কালেমা পড়ে মিথ্যা শপথ করলে কি ঈমান চলে যাবে? মানে স্বামীকে ধমক দেওয়ার জন্য যদি কালেমা পড়ে তারপর শপথ করে বলে কালকে বিষের বোতল কিনে এনে খেয়ে মরে যাব অথবা যদ শপথ করে তারপর কালেমা পড়ে বলে কালকে বিষের বতল এনে খেয়ে মরে যাব।সে জানে সে মিথ্যা কথা বলতেছে মানে যে শপথ করছে সে।কিন্তুু স্বামীকে ধমক দেওয়ার জন্য করছে যে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
উপরের কোন কথা দ্বারা ঈলা হবেনা।

(০২)
এটার দ্বারা ঈলা হবেনা।

(০৩)
এটার দ্বারা ঈলা হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...