বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলার বানী..
وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَاهُ ۖ فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ فِي أَزْوَاجِ أَدْعِيَائِهِمْ إِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا ۚ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।(সূরা আহযাব-৩৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ ছেলের বউকে বিয়ে করা হারাম।কিন্তু উপরের আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে উনার পোষ্যপুত্রর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বিয়ের ব্যাপারে কুরআন অনুমতি দিচ্ছে। কাজেই বুঝা গেল যে,
(১)কাউকে মা ডাকলে তার সাথে বিয়ে হারাম হয়ে যায় না। মুখে কাউকে মা ডাকলে তাকে বিয়ে করা যাবে।
(২)যদি কেউ কাউকে মা বানায়।কিন্তু সে আপন মা না হয় এবং সৎ মাও না হয়। সে যদি এ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে বিয়ে করতে চায়, তাহলে বিয়ে করতে পারবে।