জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)
فى رد المحتار- إن علم أنه راعى في الفروض والواجبات والسنن فلا كراهة ، وإن علم تركها في الثلاثة لم يصح ، وإن لم يدر شيئا كره لأن بعض ما يجب تركه عندنا يسن فعله عنده فالظاهر أن يفعله ، وإن علم تركها في الأخيرين فقط ينبغي أن يكره لأنه إذا كره عند احتمال ترك الواجب فعند تحققه بالأولى ، وإن علم تركها في الثالث فقط ينبغي أن يقتدي به لأن الجماعة واجبة فتقدم على تركه كراهة التنزيه ا هـ (رد المحتار، كتباب الصلاة، باب الإمامة، مطلب فى الإقتداء بشافعى ونحوه-1/563
সারমর্মঃ-
যদি জানা যায় যে ইমাম সাহেব নামাজের ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাতের দিক লক্ষ্য রেখেই ইমামতি করেন,তাহলে তার ইক্তেদা করা মাকরুহ হবেনা।
আর যদি জানা যায় যে উপরোক্ত বিষয় ছেড়ে দেয়,তাহলে তার পিছনে অন্য মাযহাব অনুসারীর নামাজ সহীহ হবেনা।
আর যদি কোনো কিছুই জানা যায়,সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামাজ মাকরুহ হবে।
(ফাতওয়ায়ে শামী-১/৫৬৩)
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 7):
"الحاصل: أنه إن علم الاحتياط منه في مذهبنا فلا كراهة في الاقتداء به، وإن علم عدمه فلا صحة، وإن لم يعلم شيئاً كره".
যদি ভিন্ন মাযহাবের ইমাম সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের রে'আয়ত করে সকল মাযহাবকে নিয়ে নামায পড়াতে ইচ্ছুক, তাহলে ঐ ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া বিশুদ্ধ। তবে যদি জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের কোনো তোয়াক্কাই করেন না, তাহলে এমন ইমাম সাহহেবের পিছনে নামায পড়া বৈধ হবে না। যদি ঐ ইমাম সাহেব সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যায় না, তাহলে এমন ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। (রদ্দুল মুহতার-২/৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি অন্য মাযহাবের ইমামের ব্যাপারে সুনিশ্চিতভাবে জানা থাকে যে, তিনি নামাজের ফরজসমূহ আদায়ের ক্ষেত্রে হানাফি মাযহাবের প্রতিও খেয়াল রাখেন তাহলে একাকি নামাজ পড়ার চেয়ে তার পেছনে ইকতিদা করাই উত্তম।
আর যদি জানা থাকে যে, তিনি ফরজসমূহের ক্ষেত্রেও হানাফি মাজহাবের প্রতি খেয়াল রাখেন না তাহলে তার পেছনে ইকতিদা করা যাবে না। আর যদি কিছুই জানা না যায়, তবে এমন ব্যক্তির ইকতিদা করা মাকরূহ হলেও তার পেছনে জামাতে নামাজ পড়াই উত্তম। তবে শর্ত হলো, মুক্তাদির মাজহাব অনুযায়ী ইমাম সাহেব থেকে নামাজ ভঙ্গের কোনো কারণ (যেমন, শরীরের কোনো স্থান হইতে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া ইত্যাদি) প্রকাশ না পাওয়া। এমন কিছু প্রকাশ পেলে মুক্তাদির নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।