ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি খুলে যাওয়া অংশ এক চতুর্থাংশ পরিমাণ হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।যেহেতু উনি পেন্ট পড়ছেন,তাই এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতই মনে করা হবে।সুতরাং এক মুহুর্তের জন্যও খুলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত।এছাড়া অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল,নামাযে ঢেকে রাখা ওয়াজিব, এমন অঙ্গের কমবেশ যাই হোক কেউ যদি ইচ্ছাকৃত খুলে দেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5215
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নামাজের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণের বেশি সতর খোলা গেলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে হাসির মত অজু ভঙ্গ হবে না বরং শুধুমাত্র নামাযই ভঙ্গ হবে।
(২)
নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431
বিশেষ ধরণের কান্নার কারণে নামায ফাসিদ হলেও অজু নষ্ট হবে না।