ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ
ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ
: ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ :
ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ
» ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম। রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ? আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা
করো। নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত
থাকে। আর গোনাহ হল সেটা, যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয় এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত
করে ফেলে। যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে
আহমদ-১৭৫৪৫)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষ যেহেতু আশরাফুল মাখলুখাত। তাই এই মানব জাতীর কল্যাণের
জন্য নিজেকে গবেষণার কাজে লাগানো নি:সন্দেহে এটা একটা বড় সওয়াবের কাজ। সুতরাং
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো ঔষধ মানুষের শরীরে
ঠিক মতো কাজ করবে কিনা এটা যাচাইয়ের জন্য কোনো প্রানীকে খাইয়ে ল্যাবে পরিক্ষা করা
বা উক্ত প্রাণীকে হত্যা করা জায়েজ আছে।
তবে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে,
ঔষধের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। বরং রোগ ভালো করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। আর
এই ঔষধগুলো শুধুমাত্র উসিলা হিসেবে কাজ করে।