ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়াই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো।তাই ঘুমানোর পূর্বে যেকোনো মূহুর্তে পড়া যাবে।ঘুমানোর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পড়া জরুরী নয়। আপনি রাত ৯ টার পর ঘুমানোর পূর্বে পড়বেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1830
(২)
সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত পড়লে কি সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ার সাওয়াব পাওয়াবে? এ সম্পর্কে কোনো হাদীসে কিছু আসেনি।
হাদীস শরীফে এসেছে,
(১)হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে।’ [সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ১৬৯৭]
(২)অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘আল্লাহ তাআলা আসমান-যমীন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দুটি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু’টি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা বাকারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শয়তান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২৮৮২]
(৩)আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘কেউ যদি রাতে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০০৯]
(৩)
আপনি ৫ ওয়াক্ত নামায তাকবীরে উলার সাথে পড়বেন।এবং নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায পড়বেন।প্রতিমানে তিনটি করে রোযা রাখবেন।ইশরাক ও দোহার নামায পড়বেন।তিন মাস ধারাবাহিক আমল করার পর যোগাযোগ করবেন।পরবর্তী আমল বলে দেবো।