জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি সফরে কোনো নির্দিষ্ট দিন থাকার নিয়ত না করে,বরং তার হিসেব মতে তার কাজ পাচ দিনেও শেষ হতে পারে,আবার দশ দিনেও,তাহলে সে এই ভাবে মাস, বছর চলে গেলেও কছরেরই নামাজ পড়বে।
কোনো দিন এসে যদি সে পনের দিন বা তার চেয়ে বেশি থাকার নিয়ত করে,তাহলে সেই দিন থেকে সে পুরো নামাজ পড়বে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن سعید بن جبیر قال: إذا أقمت أکثر من خمس عشرۃ فأتم الصلاۃ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۵؍۳۸۴ رقم: ۸۳۰۲)
যখন পনের দিন থেকে বেশি থাকবে,তখন পূর্ণ নামাজ পড়বে।
عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أنہ قال: من أقام خمسۃ عشر یوما أتم الصلاۃ۔ (سنن الترمذي ۱؍۱۲۲)
যে ব্যাক্তি পনের দিন থাকবে,সে পুরো নামাজ পড়বে।
ولا یزال حکم السفر حتی ینوي إقامۃ في بلدۃ أو قریۃ خمسۃ عشر یومًا۔ (المحیط البرہاني ۲؍۱۲۸)
যতক্ষন পর্যন্ত কোনো এলাকায় পনের দিন থাকার নিয়ত না করবে,সে কছর করেই যাবে।
۔
وإن نوی الإقامۃ أقل من خمسۃ عشر یوماً قصر، ہکذا في الہدایۃ، ولو بقی في المصر سنین علی عزم أنہ إذا قضی حاجتہ و یخرج و لم ینو الإقامۃ خمسۃ عشر یوما قصر کذا في التہذیب۔ (ہندیہ ۱؍۱۳۹، بدائع الصنائع ۱؍۲۶۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۵۲۵ رقم ۳۲۰۶ زکریا)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি শহরে থাকে,যে আমার কাজ পূর্ণ হলে আমি চলে যাবো,পনের দিন বা ত্র চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত না করে,তাহলে এইভাবে দুই বছর চলে গেলেও সে কছরের নামাজই পড়বে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু শুরুতে ১০ দিন থাকার নিয়ত করেছিলেন,তাই আপনি কছরেরই নামাজ আদায় করবেনা।
হ্যাঁ সঙ্গত কারনে যেদিন আপনার নিয়ত আরো বেশি দিনের হয়ে গেলো,সেদিন থেকে আবার হিসাব শুরু হবে।
তখন আপনি যদি পনের দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত করেন,তাহলে তখন থেকে আপনি পূর্ণ নামাজ আদায় করবেন।
আর যদি তখন আপনি পনের দিনের কম থাকার নিয়ত করেন,বা কোনো নিয়তই না করেন,তাহলে আপনি কছরের নামাজ চালিয়ে যাবেন।